‘গাইডেড মিসাইল’ হামলায় নিহত হয়েছেন হানিয়া!

ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থানকালে মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলি গুপ্ত হামলায় নিহত হয়েছেন গাজার হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তাকে ‘গাইডেড মিসাইল’ হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে দাবি সৌদি সংবাদমাধ্যমের। খবর বিবিসির।

ইসমাইল হানিয়া, ফাইল ছবি

সৌদি আরবের বার্তা সংস্থা আল হাদাথ এক প্রতিবেদনে বলছে, তেহরানে হামাসের সিনিয়র নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে তার ব্যক্তিগত বাসভবন লক্ষ্য করে একটি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

নিউজ আউটলেটটি বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তেহরানের ওই ভবনে আঘাত হেনেছে। এতে এক দেহরক্ষীসহ নিহত হন হামাস প্রধান হানিয়া।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও একই রকমের তথ্য দেওয়া হয়েছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ফারস নিউজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, হানিয়া তেহরানের উত্তরে প্রবীণদের জন্য নির্ধারিত একটি বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। ওই বাসভবনে একটি প্রজেক্টাইল (রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র) আঘাত হেনেছে।

যদিও ইরানি আরেকটি তথ্য বলছে, ইসরায়েলি জেট বিমান ইরানের আকাশসীমার বাইরে থেকে রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে হানিয়া হত্যার অভিযানের ব্যাপারে এখনও কিছু বলেনি ইসরায়েল। যদিও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে।

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মঙ্গলবার তেহরানে অবস্থান করছিলেন ইসমাইল হানিয়া। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট মাসুদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন হামাস প্রধান।

বুধবার সকালে ইরানি রেভ্যুলেশনারি গার্ড জানায়, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া। এসময় তার এক দেহরক্ষীও নিহত হয়েছেন। জায়নবাদীদের হামলায় নিহতের কথা নিশ্চিত করেছে হামাসও।

হানিয়ার হত্যা নিয়ে তদন্ত চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরানি রেভ্যুলেশনারি গার্ড। হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। হানিয়া হত্যার নিন্দা জানিয়েছে কাতার।