কে ছিলেন এই ইসমাইল হানিয়া

ইরানে ইসরায়েলি বাহিনীর চোরাগোপ্তা হামলায় নিহত হয়েছেন গাজার হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। মঙ্গলবার রাতের যেকোনো সময় তেহরানে তার বাসভবনে ওই হামলা চালায় ইসরায়েল। কে ছিলেন এই ইসমাইল হানিয়া, কেনই বা ইসরায়েলের নিশানায় ছিলেন তিনি?

গাজার হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া

ইসমাইল হানিয়া ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান পদে থাকলেও তাকেই দলটির শীর্ষ নেতা বিবেচনা করা হয়। ২০০৬ সাল থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা শাসন করে আসছে হামাস।

৬২ বছর বয়সী হানিয়ার পুরো নাম ইসমাইল আব্দুলসালাম আহমেদ হানিয়া। তিনি গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

ইসমাইল হানিয়া ২০১৭ সালের ৬ মে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হন। গোষ্ঠীটির সাবেক প্রধান খালেদ মেশালের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।

শিক্ষাজীবনে হানিয়া গাজার আল-আজহার ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করেছেন এবং গাজার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালেই হামাসের অগ্রদূত সংগঠন হিসেবে পরিচিত ইসলামিক ছাত্র ব্লকে যোগ দেন হানিয়া। আর তখন থেকেই ইসরায়েলি টার্গেটে পরিণত হন।

তিনি হামাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও তার সহকারি হিসাবে হামাসের পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।

হানিয়া ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে একাধিকবার বন্দি হয়েছিলেন এবং নির্বাসন ও হত্যা প্রচেষ্টার মুখোমুখি হওয়ার পর গাজা উপত্যকায় বাইরে বসবাস করেছিলেন।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র তৈরি হওয়ার পর আসকালান শহর থেকে পালিয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে কাতারসহ বিভিন্ন শহরে বসবাস করছিলেন।

অবশেষে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার যোগ দিয়ে তেহরানে অবস্থানকালে ইসরায়েলের হাতেই নিহত হলেন ইসমাইল হানিয়া।

সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ছেলেসহ পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে হারিয়েছেন ইসমাইল হানিয়াহ। চলতি বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন তার তিন ছেলে শাতি শরণার্থী শিবিরে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে হামলায় নিহত হন।

সূত্র: আল জাজিরা