ন্যাটো থেকে তুরস্ককে বহিষ্কার করতে বলছে ইসরায়েল

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সোমবার ন্যাটো থেকে তুরস্ককে বহিষ্কার করার আহ্বান জানিয়েছেন। এর কারণ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ইসরায়েলে হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন। এর আগে তিনি লিবিয়া ও নাগোর্নো-কারাবাখেও হস্তক্ষেপ করেছেন।

ইসরায়েল কাৎজ

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসরায়েল আক্রমণের হুমকি দিয়েছেন এবং বিপজ্জনক বক্তব্য দিয়েছেন। এ কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ কূটনীতিকদের নির্দেশ দিয়েছেন ন্যাটোর সব সদস্যদেশের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করার এবং তুরস্কের নিন্দা ও বহিষ্কারের দাবি জানানোর।’

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধের তীব্র সমালোচক এরদোয়ান রোববার এক বক্তৃতায় বলেছেন, ‘ইসরায়েল যাতে ফিলিস্তিনের সঙ্গে এই ধরনের জঘন্য কাজ করতে না পারে সেজন্য আমাদের অবশ্যই অত্যন্ত শক্তিশালী হতে হবে। ঠিক যেমভাবে আমরা কারাবাখে প্রবেশ করেছিলাম, লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলাম, তেমনি তাদের ক্ষেত্রেও আমরা একই কাজ করতে পারি।’

তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেননি কী ধরনের হস্তক্ষেপের কথা বলছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এরদোয়ান সাদ্দাম হুসেনের পথ অনুসরণ করছেন এবং ইসরায়েল আক্রমণের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি মনে রাখবেন সেখানে কী ঘটেছিল এবং কীভাবে শেষ হয়েছিল।’

কাৎজ আরও বলেন, ‘হামাসের সদর দপ্তর তুরস্কে, যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার জন্য দায়ী। এ জন্য তুরস্ক ইরানের দুষ্ট শক্তির অংশ হয়ে উঠেছে। হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুথিদের পাশে তাদের অবস্থান,’ একসময় ঘনিষ্ঠ অঞ্চলীয় মিত্র হলেও গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।

দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য অনেক কূটনৈতিক ঝড় সামলে বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তবে তুরস্ক এই মাসে বলেছে, যুদ্ধ শেষ হওয়া এবং গাজায় সহায়তা নির্বিঘ্নে প্রবেশ না করা পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ রাখবে।