গাজায় দিনব্যাপী ইসরায়েলি অভিযান: মৃত প্রায় ১৭০, আহত শত শত

গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭০ জন নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছেন। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

ম্যাপে ফিলিস্তিন ও ইসরয়েলের অবস্থান

এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বসাল এএফপিকে বলেন, ‘সোমবার খান ইউনিসে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে, আমরা প্রায় ১৭০ জন শহীদের খবর পেয়েছি। এছাড়া আহত হয়েছেন শত শত মানুষ।’

তিনি আরও জানান, ইসরায়েলি অভিযান অব্যাহত থাকায় শনিবারও অনেক মানুষকে তাদের ঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। বাস্তুচ্যুত মানুষের এই ঢল নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রশ্ন হলো, এই মানুষগুলো কোথায় যাবে?’

মাহমুদ বসাল বলেন, ‘খান ইউনিসের বর্তমান পরিস্থিতি যারা দেখছেন, তারা মাটিতে, রাস্তায়, এমনকি বসবাসের জন্য অনুপযুক্ত স্থানেও হাজার হাজার মানুষকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখবেন। অন্য কোনো বিকল্প নেই, তাই তারা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই রয়ে গেছেন।’

শনিবার দিনের শুরুতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পাঁচজন ইসরায়েলির মৃতদেহ উদ্ধারের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটির বাসিন্দাদের জন্য নতুন করে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করে। নতুন করে সামরিক অভিযান চালানোর সতর্কতাও জারি করা হয়।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, সোমবার ইসরায়েলি অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ১ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি খান ইউনিস থেকে পালিয়ে গেছেন।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ আরও জানায়, সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা এবং ‘তীব্র সামরিক কার্যক্রম’ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এর ফলে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোতে পানি, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশন পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খান ইউনিস এলাকা থেকে রকেট হামলা বন্ধ করার লক্ষ্যেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

গত বুধবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, খান ইউনিস এলাকা থেকে পাঁচজন ইসরায়েলির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর মতে, গত ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলায় তারা নিহত হন। পরবর্তীতে তাদের মৃতদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী খান ইউনিসের আরও কিছু অংশের বাসিন্দাদের জন্য সাময়িকভাবে ‘আল-মাওয়াসির মানবিক এলাকায়’ স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়।