লিবারম্যান: সৈন্যরা দুঃস্বপ্নে জর্জরিত, ভেঙে পড়েছে ইসরায়েলের অর্থনীতি

ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগডর লিবারম্যান বলেছেন, আমাদের দেশের সৈন্যসহ সবাই এখন দুঃস্বপ্নে জর্জরিত, একই সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ছে এবং কূটনীতিরও অবক্ষয় হচ্ছে। সোমবার (১৫ জুলাই) ইসরায়েলের নিউজ সাইট ওয়ালায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর আনাদোলু।

আভিগডর লিবারম্যান

ইসরায়েলের ডানপন্থী দল ইসরায়েল বেইতিনু পার্টির নেতা লিবারম্যান বলেন, আমাদের দেশ ও জনগণের ওপর হামাসের আশ্চর্যজনক ও মারাত্মক হামলার নয় মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের নেতৃত্বের মধ্যে কোনো পরিবর্তনই আসেনি। আমাদের শিশু থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক, সৈন্য থেকে সাধারণ মানুষ কেবল দুঃস্বপ্নে ভুগছে। তারা দুঃস্বপ্ন দেখছে, কী ঘটেছে আর কী ঘটতে পারে আগামী দিনগুলোতে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। ইসরায়েলি কূটনীতি ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে।

লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনার বিষয়টি উল্লেখ করে লিবারম্যান বলেন, আমাদের উত্তরাঞ্চল জনশূন্য হয়ে গেছে, ঝলসে গেছে। অন্যদিকে ইরান নিজেকে ক্রমশই সশস্ত্র করে চলেছে। আর চারদিকে যখন এসব ঘটনা ঘটছে, তখন দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার তাদের কার্যক্রম এমনভাবে চালিয়ে যাচ্ছে যেন কিছুই হয়নি।

তিনি এ সময় দাবি করেন, জিম্মিদের মুক্তির আলোচনা ক্যামেরার বাইরেই হওয়া উচিত। একই সঙ্গে তিনি এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিটজান অ্যালোনের নেতৃত্বাধীন পেশাদার দলকে নিয়োগেরও দাবি জানান।

সরকার ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নভেম্বরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেবেন। তবে তার আগেই নেসেটকে ভেঙে দেওয়া হবে বলে আমরা আশা করছি। আমরা এক্ষেত্রে একটি বিশাল জায়নিস্ট জোট চাই। এটি ছাড়া কিছু ঠিক করা অসম্ভব।

গাজায় চলমান যুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে আগাম নির্বাচন দাবি জানাচ্ছে ইসরায়েলের বিভিন্ন দল। তবে নেতানিয়াহু তাদের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। ২০২২ সালের শেষের দিকে নেতানিয়াহু সর্বশেষ সরকার গঠন করেন। আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে চার বছর তারা দেশ পরিচালনা করবেন।