গাজার ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলি বোমায় নিহত বেড়ে ৯০

গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি আশ্রয় ক্যাম্পে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ৯০ জনে পৌঁছেছে। শনিবার ভোরের ওই হামলায় বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেকে চাপা পড়ে থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। খবর আল জাজিরা ও বিবিসির।

আল মাওয়াসি ক্যাম্পে বোমা হামলায় স্বজনহারা কয়েক ফিলিস্তিনি

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায় সূত্র জানিয়েছে, আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে বোমা হামলায় এ পর্যন্ত ৯০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন ফিলিস্তিনি।

আল মাওয়াসিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সেফ জোন বা ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা সত্ত্বেও এ বোমা হামলা চালিয়েছে। আর নিরাপদ ঘোষণা করায় ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাজার হাজার উদ্বাস্ত ফিলিস্তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বোমার আঘাতে ওই এলাকায় ভূকম্পন তৈরি হয়। এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, সৌদি আবর, তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।

যদিও ইসরায়েল বলছে, হামাসের সিনিয়র কমান্ডার মোহাম্মেদ দেইফ ও তার ডেপুটি রাফা সালামাকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে তারা কেউ হামলায় নিহত হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ইসরায়েল।

শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের সিনিয়র সামরিক কমান্ডার দেইফ হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। নেতানিয়াহু আরও বলেন, তিনি নিহত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে তাকে হত্যার চেষ্টাও ইসরায়েলের জন্য উপকারী।

হামলার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রোস আদহানম গ্রেব্রেয়েসুস বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।

গাজায় ৯ মাসের বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে টানা হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৪৪৩ জন নিহত এবং ৮৮ হাজার ৪৮১ জন আহত হয়েছে।