মোগাদিশুর কারাগারে সংঘর্ষ: ৮ জনের মৃত্যু

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা বাহিনী ও কারাবন্দীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন কারাবন্দী এবং তিনজন সেনাসদস্য রয়েছেন। এছাড়াও, ১৮ জন বন্দী এবং তিনজন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সোমালিয়া

শনিবার (১৩ জুলাই) স্থানীয় সময় সকালে কারাগারের ভেতর থেকে বন্দুকের গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে একটি বিরাট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়, এরপর শুরু হয় তুমুল গুলিবিনিময়।

সোমালি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র কর্নেল আব্দিকানি খালাফ জানান, ‘শনিবার সকালে একদল সশস্ত্র বন্দী পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তারা কারারক্ষীদের ওপর আক্রমণ চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে কারারক্ষীদের পক্ষ থেকেও পাল্টা গুলি চালানো হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এবং কোন বন্দী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি।’

কারা কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত পালানোর চেষ্টাকারী বন্দীদের পরিচয় নিশ্চিত করেনি। তবে, স্থানীয় সূত্র ও গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পালানোর চেষ্টাকারীরা আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন আল-শাবাবের সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, তারা কৌশলে অস্ত্র ও গ্রেনেড সংগ্রহ করে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল।

উল্লেখ্য, আল-শাবাব দীর্ঘদিন ধরে সোমালিয়ার বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে।

কিওয়ার্ড:

সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে একটি কারাগারে নিরাপত্তা বাহিনী ও কয়েদিদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ জুলাই) শহরের প্রধান কারাগার থেকে সশস্ত্র বন্দীরা পালানোর চেষ্টা করলে এ সংঘাতের সূত্রপাত হয়। খবর আল জাজিরা ও এএফপি।

সোমালি সেনাবাহিনীর কারারক্ষীদের মুখপাত্র কর্নেল আব্দিকানি খালাফ বলেন, শনিবার সশস্ত্র বন্দীরা পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা গুলি বিনিময়ের উস্কানি দেয়। ফলে সে সময় কারাবন্দী ও কারারক্ষী সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে পাঁচজন বন্দী ও তিনজন সৈন্য নিহত হয়। এ ঘটনায় আর ১৮ জন বন্দী এবং তিনজন সেনা সদস্য আহত হয়েছে। তবে কোনো বন্দী পালাতে সক্ষম হয়নি বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

কারাগারের নিরাপত্তা সূত্র জানায়, যে কয়েদিরা পালানোর চেষ্টা করেছিল তারা ছিল আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট আল-শাবাবের সদস্য। কোনোভাবে অস্ত্র করায়ত্ত করার পর তারা পালানোর জন্য পরিকল্পনা করেছিল। যারা এ পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল, তারা সবাই ছিল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী।

স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, ঘটনার সময় গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে। আবদুর রহমান আলি নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কারাগারের ভেতরে প্রথমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর পরপরই সেখানে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়।

শুয়াইব আহমেদ নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, আমি আমার ভাই, যিনি ওই কারাগারের রক্ষীবাহিনীর একজন সদস্য তাকে ফোন করে অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে জানান, আল-শাবাবের বেশ কয়েকজন বন্দী গোপনে অস্ত্র ও গ্রেনেড সংগ্রহ করেছে। এখন সেগুলো ব্যবহার করে পালানোর চেষ্টা করেছে। তাদেরকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত বেধে যায়।

আল-শাবাব ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে মোগাদিশুতে সরকার পতনের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। রাজধানী ও দেশের অন্যান্য অংশে তারা অসংখ্য হামলা চালিয়েছে। এখনও প্রতিবছর তারা ছোট বড় অসংখ্যা হামলা চালায়।