কোপা আমেরিকা: কনমেবলকে একহাত নিলেন দুই কোচ

প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকা খেলতে এসেই ইতিহাস গড়েছে কানাডা। দলটি ওঠে সেমিফাইনালে। কিন্তু ফাইনালের আগেই থেমে যায় তাদের স্বপ্নযাত্রা। শেষ চারে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে ২-০ গোলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় কানাডিয়ানরা। দলটির এই সাফল্যের নেপথ্য নায়ক প্রধান কোচ জেসি মার্শ। সংবাদমাধ্যমে গুঞ্জন আছে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে পারেন তিনি। যদিও খবরটা উড়িয়ে দিয়েছেন কানাডার কোচ।

কোপা আমেরিকার দর্শকদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছে। ছবি: ফাইল

নিজের ভবিষ্যত নিয়ে কিছু না বললেও কোপা আমেরিকার আয়োজন নিয়ে আজ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্শ। তিনি সুর মিলিয়েছেন সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া আরেক দল উরুগুয়ের প্রধান কোচ মার্সেলো বিয়েলসার সঙ্গে। দুই কোচের লক্ষ্যবস্তু কোপা আমেরিকার অভিভাবক ও ল্যাটিন আমেরিকা মহাদেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল।

আগামীকাল সকালে সান্ত্বনার তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে ও কানাডা। এই ম্যাচের আগে উরুগুয়ে কোচ বিয়েলসা বলেছেন, ‌আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন অনেক ক্লান্ত। মাঠগুলো যথাযথ ছিল না। সংবাদ সম্মেলন করে সেগুলোকে ঠিক করতে বলতে হচ্ছে। ইতোপূর্বে স্কালোনি (আর্জেন্টিনা কোচ) এ নিয়ে কথা বলেছেন। ফুটবলারদের এ বিষয়ে কিছু বলা নিষেধ আছে। কিন্তু দেশগুলোর ফেডারেশন থেকেও কিছু বলা হচ্ছে না।

এরপর সংবাদ সম্মেলনে বিয়েলসার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন কানাডার কোচ মার্শ। তিনি বলেছেন, আমি তার সংবাদ সম্মেলনের পুরো অংশ দেখিনি। তবে শুনেছি তিনি কিছু বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। আমি তার কিছু বিষয়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। আমার কাছে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন পেশাদার মনে হয়নি। অব্যবস্থাপনার কারণে অনেক সমস্যা হয়েছে। টুর্নমেন্টে চলাকালীন সামনে থেকেও আমরা বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছি। দ্বিতীয় শ্রেনির নাগরিকো মতো ব্যবহার করা হয়েছে আমাদের সঙ্গে।

শুধু আয়োজন কিংবা অব্যবস্থাপনা নিয়েই নয়, কোপা আমেরিকার এবারের আসরে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল আম্পায়ারিংও। গ্রুপপর্বে ব্রাজিল পায়নি প্রাপ্য গোল। সেই গোলটি না পাওয়ার কারণেই হয়তো গ্রুপ সেরা হতে পারেনি সেলেকাওরা। আম্পারিংয়ের বিষয়ে কনমেবল অব্যশ্য ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু বর্ণবিদ্বেষের বিষবাষ্প এবং অব্যবস্থাপনা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কনমেবল।