জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ‘পেঙ্গুইন’ গ্যালাক্সি

মহাজাগতিক রহস্যের যেন অন্ত নেই। মহাকাশে পাঠানো সবচেয়ে বৃহত্তম টেলিস্কোপ জেমস ওয়েবে ধরা পড়েছে, পেঙ্গুইন আদলের একটি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ তার দুই বছর পূর্তির দিনে শুক্রবার পাঠিয়েছে পেঙ্গুইন গ্যালাক্সির ছবি। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

৩২৬ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত পেঙ্গুইন গ্যালাক্সি

জেমস ওয়েবের সর্বশেষ মহাজাগতিক শট ইনফ্রারেডে ধরা পড়েছে, এমন এক জোড়া জ্বলজ্বলে গ্যালাক্সি, যারা আলিঙ্গনরত। অর্থাৎ, ক্রমেই একটি অপরটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।

নাসার বিজ্ঞানীরা একটির নাম দিয়েছেন পেঙ্গুইন এবং আরেকটির নাম দিয়েছেন ডিম। এই জোড়া গ্যালাক্সি ৩২৬ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এক আলোকবর্ষ ৫.৮ ট্রিলিয়ন মাইলের সমান।

নাসার তথ্য বলছে, কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে পরস্পরের সঙ্গে জট পাকিয়ে যাচ্ছে পেঙ্গুইন ও ডিম। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের পাঠানো ছবিতে স্পষ্ট, প্রায় সংযুক্ত হয়ে আসা গ্যালাক্সি দুটি নীল তারকা ও গ্যাসের কুয়াশা দ্বারা বেষ্টিত।

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, এক সময় একক গ্যালাক্সিতে পরিণত হবে পেঙ্গুইন ও ডিম। ৪০০ কোটি বছর পর একদিন আমাদের এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি এবং অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সিও একই মিথস্ক্রিয়ায় একক গ্যালাক্সিতে পরিণত হবে।

এদিকে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত জেমস ওয়েবের মহাকাশ অভিযানের দুই বছর পূর্তি ঘটেছে শুক্রবার (১২ জুলাই)। যদিও জেমস ওয়েব মহাকাশে যাত্রা শুরু করেছিল ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তবে ২০২২ সালের ১২ জুলাই মহাকাশ অপারেশন শুরু করেছিল জেমস ওয়েব।

প্রিমিয়ার অবজারভেটরি জেমস ওয়েবের ইনফ্রারেড আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য মহাবিশ্বের অভূতপূর্ব সব চিত্র পাঠাচ্ছে, যা আগে কখনো দেখেনি মানুষের চোখ।

জেমস ওয়েব বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১০ লাখ মাইল (১৬ লাখ কিলোমিটার) দুরে অবস্থান করছে।

নাসার বিজ্ঞানী মার্ক ক্ল্যাম্পিন একটি বিবৃতিতে বলেছেন, মাত্র দুই বছরে, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে অনেক পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে, যা বৈপ্লবিক।