রেড ক্রস: ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিখোঁজ

ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রস (আইসিআরসি) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার প্রায় ৬ হাজার ৪০০ জন ফিলিস্তিনি নিখোঁজ হয়েছে। তাদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১২ জুলাই, শুক্রবার প্রভাবশালী ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজ ব্যক্তিরা হয় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন, পরিচয় ছাড়াই তাদের কবর দেওয়া হয়েছে অথবা ইসরায়েলি বাহিনী তাদের আটক করেছে। এছাড়া অনেকেই তাদের প্রিয়জনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তারা আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।

আইসিআরসি জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আরও ১ হাজার ১০০ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আইসিআরসি মুখপাত্র সারা ডেভিস গার্ডিয়ানকে বলেছেন, 'প্রতি সপ্তাহে আমরা আমাদের হটলাইনে ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০টি কল পাই। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সদস্যদের খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ থাকে।'  

তিনি আরও বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী যখন সামরিক অভিযান শুরুর আগে কোনো এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ জারি করে, তখন আমাদের হটলাইন অপারেটররা নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবার থেকে অনেক বেশি কল পায়। তাদের খুঁজে বের করে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। আসলে এ ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে মানুষ সহজেই একজন আরেকজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।' 

তিনি যোগ করেছেন, 'লোকেরা যখন আহত হয় এবং তাদের অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তারা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হারাতে পারেন। কারণ তাদের পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন না তারা কোথায় আছেন। মূলত একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে মানুষের একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অসংখ্য অজানা কারণ রয়েছে।' 

উল্লেখ্য, ৯ মাসের বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানের ফলে অবরুদ্ধ এই ছিটমহলের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খাদ্য এবং পানির অভাবে গাজাবাসী এখন দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি