জিও'র মোবাইল ইন্টারনেটের দাম আকাশছোঁয়া, গ্রাহকরা বিপাকে

ভারতের মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহারের খরচ এক লাফে অনেকখানি বেড়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) বিভিন্ন ট্যারিফের দাম ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, টেলিকম বাজারে নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করার পর এখন পুরো বাজার নিয়ে খেলছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা ‘জিও’।

জিও’র লোগো

জানা গেছে, বুধবার থেকে জিও’র ২৩৯ টাকার রিচার্জের দাম ২৯৯ টাকা, ৩৯৫ টাকার প্রিপেইড প্ল্যান ৪৭৯ টাকা এবং ১,৫৫৯ টাকার প্ল্যান বাড়িয়ে করা হয়েছে ১,৮৯৯ টাকা। জিও’র পাশাপাশি বাজারে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোও তাদের পরিষেবামূল্য বাড়িয়েছে।

হঠাৎ করেই পরিষেবামূল্য এভাবে বাড়িয়ে নির্ধারণ করায় বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। তারা বলছেন, অনেকদিন ধরে ফ্রি ও সস্তার অভ্যাস করিয়ে জিও গ্রাহকদের যেমন এ পরিষেবা ব্যবহারে বাধ্য করে তুলেছে, তেমনি অন্য কোম্পানিগুলোর বাজারও নষ্ট করেছে। এভাবে এ সেক্টরে যখন তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম হয়েছে, তখন ইচ্ছেমাফিক পরিষেবা মূল্য বাড়াচ্ছে সংস্থাটি। গ্রাহকরা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা চলতে থাকবে।

মুকেশ আম্বানির সংস্থা জিও’র দাবি, ভারতীয় ইন্টারনেটের জগতে তারা ‘বিপ্লব’ এনেছে। ২০১৬ সালে বিনামূল্যে ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে বাজারে প্রবেশ করে জিও। এর ফলে প্রাথমিকভাবে লোকসান গুনলেও গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং অন্যান্য কোম্পানি বাজার থেকে সরে যায়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মূল্য বৃদ্ধি এবং পরিষেবা সম্প্রসারণ করে জিও। বর্তমানে ভারতের ৮২ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে ৪৫ কোটিই জিও’র গ্রাহক।

ভারতের টেলিকম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে কেবল আধিপত্য তৈরি করা নয়, বরং প্রতিদ্বন্দ্বীদের বাজার থেকেই সরিয়ে দিয়েছে জিও। বিশাল এই গ্রাহকগোষ্ঠী নিয়ে জিও এখন নিজেদের ইচ্ছেমাফিক পরিষেবা মূল্য বৃদ্ধি করছে। বাজারে টিকে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোও জিওর সঙ্গে সঙ্গে পরিষেবা মূল্য বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে।