বেলারুশ এসসিও’র দশম সদস্য: ইউরেশীয় জোটে নতুন মাত্রা

বেলারুশ ৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছে। ফলে দেশটি ইউরেশীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সংস্থাটির দশম সদস্য রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে।

ছবি - সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এসসিও অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধন করেছিলেন কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ত তোকায়েভ। তিনি বলেছেন, ‘বেলারুশ স্বল্প সময়ের মধ্যে এসসিও সদস্য হওয়ার পথে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।' তিনি প্রাসঙ্গিক প্রোটোকলগুলোতে স্বাক্ষর করার প্রস্তাব করেছেন।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, 'বেলারুশ এসসিও এর পূর্ণ সদস্য হতে পেরে খুবই গর্বিত। আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা এবং সংহতির নীতির ভিত্তিতে সংগঠনের স্পিরিটকে শক্তিশালী করব।'    

এদিকে বেলারুশ ২০১০ সালে এসসিওতে একটি সংলাপ অংশীদার (ডায়ালগ পার্টনার) এবং ২০১৫ সালে একটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে ছিল।

এই সংস্থাটি ২০০১ সালে চীনের সাংহাইতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, চীন, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান এই সংস্থার সদস্য ছিল। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান এই ব্লকে যোগ দেয়। ইরান ২০২৩ সালে এসসিওর পূর্ণ সদস্যপদ পায়। 

বর্তমানে এসসিওর দুটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হচ্ছে আফগানিস্তান এবং মঙ্গোলিয়া। এছাড়া তুরস্কসহ ১৪টি দেশ সংলাপ অংশীদারের মর্যাদায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, ৩ থেকে ৪ জুলাই কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এসসিওর ২৪তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি