আফগানিস্তানে নতুন মিত্র খুঁজে পেল রাশিয়া!

দুই দশক আগে বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে তালেবানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেই তালেবানই এখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ ‘মিত্র’। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এমন মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে, তালেবানই বর্তমানে আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করছে। যে কোনো কর্তৃপক্ষই তাদের শাসনকৃত এলাকায় স্থিতিশীলতা চায়। সে হিসেবে অবশ্যই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তালেবান আমাদের মিত্র।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আফগানিস্তানকে স্থিতিশীল করতে আগ্রহী তালেবান। তারা দেশটির দায়িত্ব নিয়েছে। তবে এখনও বেশ কিছু ইস্যুতে ঝামেলা রয়ে গেছে, যা সমাধানে দেশের শাসকগোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, ১৯৮০-এর দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের পর দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক জটিল হয়ে পড়ে। ২০০৩ সালে এসে বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে রাশিয়াও তালেবানকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে।

এর মধ্যেই ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেয় এবং দেশটিতে থাকা সব বিদেশি সেনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে।

গত কয়েক বছর ধরেই রাশিয়া তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। গত মাসে প্রকাশ্যেই পুতিন তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

গত মার্চে ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) সদস্যরা মস্কোর একটি কনসার্ট হলে হামলা চালায়। দুই দশকের মধ্যে রাশিয়ায় চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই হামলায় ১৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।

তালেবান গত কয়েক বছর ধরেই আফগানিস্তানে প্রতিদ্বন্দ্বী আইএস-কের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে রাশিয়া ও তালেবানের স্বার্থও এক বিন্দুতে মিলিত হয়েছে।

তবে এখনও তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি রাশিয়া।