শেখ নাইম: গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই থামবে হিজবুল্লাহ!

হিজবুল্লাহর ডেপুটি লিডার শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, গাজা উপত্যকায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত হওয়ার পর লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে সংঘর্ষ বন্ধ হয়ে যাবে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে ইরানপন্থী এই গ্রুপটির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

নাইম কাসেম

শেখ নাইম কাসেম বলেছেন, ‘যদি গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হয়, তাহলে আমরা কোনো আলোচনা ছাড়াই থেমে যাব।' 

তিনি আরও বলেছেন, 'গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর অংশগ্রহণ মিত্র হামাসের জন্য একটি সমর্থন ফ্রন্ট হিসাবে ছিল। যদি এই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায় তবে আমাদের এই সামরিক সমর্থন আর থাকবে না।'  

তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, যদি ইসরায়েল একটি আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি ছাড়াই তাদের সামরিক অভিযান শেষ করে এবং গাজা থেকে সম্পূর্ণ বাহিনী প্রত্যাহার করে তবে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত সংঘর্ষের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

৪০ মিনিটের সাক্ষাতকারে কাসেম বলেছেন, ‘গাজায় যদি যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধবিরতি না, যুদ্ধ এবং যুদ্ধ না হওয়ার মত একটি মিশ্র পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে আমরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব, সে বিষয়ে আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না। কারণ আমরা এর ফলাফল এবং প্রভাব সম্পর্কে কিছুই জানি না।' 

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে লেবানন-ইসরায়েল ফ্রন্টে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা বেড়েছে। গত ৮ মাসের বেশি সময় ধরে হিজবুল্লাহ তাদের সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এর ফলে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের উভয় দিকে কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

আন্তর্জাতিকভাবে কয়েক মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। হামাস নৃশংস এই যুদ্ধের পূর্ণ সমাপ্তি দাবি করেছে। অপরদিকে ইসরায়েল হামাসের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।  

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এমন প্রতিশ্রুতি দিতে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, হামাসের সামরিক ও শাসন ক্ষমতা ধ্বংস করে  ১২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করার আগ পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।   

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় ৯ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে ৩৭ হাজার ৯২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৭ হাজার ১৪১ জন আহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

সূত্র: এপি