‘ইমরান খানকে কারাবন্দি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিধিবহির্ভূতভাবে কারাবন্দি করা হয়েছে। তাকে কারাবন্দি রাখা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ইমরান খানকে মুক্তি দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। সোমবার (১ জুলাই) এ অভিমত জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ। খবর আল জাজিরার।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

জাতিসংঘের জেনেভা-ভিত্তিক মানবাধিকার ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন বলেছে, ইমরান খানকে আটক করে রাখার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই তাকে কারাবন্দি করা হয়েছে।

ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন বলছে, ইমরান খানের প্রতি এই অবিচারের উপযুক্ত প্রতিকার হচ্ছে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ কার্যকর অধিকার সুরক্ষা দেওয়া।

তথ্য মতে, গত ২৫ মার্চ মতামত জারি করেছে জাতিসংঘের জেনেভাভিত্তিক ওয়ার্কিং গ্রুপটি। তবে সোমবার তা প্রকাশ করা হয়েছে। এই গ্রুপটি পাঁচজন স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত। তাদের অভিমত বাধ্যতামূলক পালনীয় না হলেও গুরুত্বপূর্ণ।

ইমরান খানকে ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং এরপর তার বিরুদ্ধে ২০০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকেই কারাবন্দি রয়েছেন সাবেক ক্রিকেটতারকা।

ওয়ার্কিং গ্রুপ বলছে, ইমরান খানকে যে আইনি মারপ্যাচে ফেলা হয়েছে সেটি মূলত তাকে এবং তার দল পিটিআই পার্টির বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর দমন অভিযানের’ অংশ।

ওয়ার্কিং গ্রুপটি আরও বলেছে, পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে ইমরান খানের দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের নির্বাচনী সমাবেশে বাধা এবং নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতি ও কারচুপিরও আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান সরকার অবশ্য জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপটির এমন মতামতের বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।