প্রোটিয়া অধিনায়ক: খুব কষ্ট লাগছে কিন্তু আমরা গর্বিত

এর আগে সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে থামতে হয়েছে। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে নক আউট পর্ব পর্যন্তই যেন দক্ষিণ আফ্রিকার দৌড়। এ কারণে ‘চোকার্স’ তকমাও জুটেছে। সেই অবস্থা থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে এইডেন মার্করামের নেতৃত্বে প্রোটিয়ারা উঠে এলো ফাইনালে। কিন্তু সেখানেও শেষমেশ অপেক্ষা করেছিল চোখের পানি। ভারতের বিপক্ষে হেরে তুলে ধরা হলো না শিরোপা। ম্যাচ শেষে দল অধিনায়ক নিজের কষ্ট লুকানোর চেষ্টাও করলেন না। তবে জানিয়ে দিলেন, দল নিয়ে তিনি গর্বিত।

এবারও শিরোপা ছোঁয়া হলো না দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের। ছবি: ক্রিকইনফো

হেনরিখ ক্লাসেন ম্যাচটা প্রায় বাগে এনে ফেলেছিলেন। জিততে তখন কেবল ৩০ বলে ৩০ রান দরকার ছিল তাদের। টি-টোয়েন্টিতে যা পানির মতো সহজই বলা যায়। কিন্তু দলটা দক্ষিণ আফ্রিকা বলেই হয়তো সেটাও হলো না। তাদের সাত রানে হারিয়ে ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। আর চোখের সামনে তা দেখে হজম করতে কষ্টই হচ্ছে অধিনায়ক এইডেন মার্করামের।

তার নেতৃত্বে অনেক বড় স্বপ্নই দেখছিল দক্ষিণ আফ্রিকানরা। ১০ বছর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অপরাজিত বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন মার্করাম। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠে তার দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিরোপার স্বাদ আর নিতে পারলেন না।

ম্যাচ শেষে বিধ্বস্ত মার্করাম বলেন, 'আপাতত হতাশ। ভালোভাবে কাটানো আসরটির দিকে ফিরে তাকাতে কিছুটা সময় লাগবে। খুব কষ্ট লাগছে। তবে একইসঙ্গে অবিশ্বাস্য রকমের গর্বিত। আমরা ভালো বোলিং করেছি, খুব বেশি কিছু করার কিছু ছিল না, এটা তাড়া করার মতো লক্ষ্য ছিল। ভালো ব্যাটিং করেছি, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম, ভেবেছিলাম হয়ে যাবে, জিততে না পেরে হতাশ লাগছে।'

‘আমরা একটি ভালো অবস্থানে এসেছি। যা প্রমাণ করে যে আমরা ফাইনালিস্ট হওয়ার যোগ্য। আমরা আজকে জিততে পারতাম, দুর্ভাগ্যবশত পারিনি। তবুও, আমি যেমন বলেছি, আমি এই দলের জন্য খুব গর্বিত। দক্ষিণ আফ্রিকানদের সম্পর্কে একটি জিনিস নিশ্চিত যে তারা সত্যিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, লড়াই ছাড়ে না। আশা করি সামনে আমরা এসব থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব ও খেলার দক্ষতার দিকটি ভালভাবে ব্যবহার করতে পারব। এটা এখনও (হেরে যাওয়ার পরও) আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত।’

তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমরা সত্যিই ভালো ব্যাটিং করছি এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যাচে ছিোম। সত্যিই একটা ভালো ম্যাচ হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে অনেক ম্যাচে দেখেছি যে শেষ অবধি গেছে। খেলা কখনও শেষ হয় না। আমরা কখনোই স্বস্তি পাইনি, সবসময় স্কোরবোর্ডের চাপ ছিল। বিশেষ করে ম্যাচের শেষ কয়েক ওভারে, খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে সবকিছু।