আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে ফ্রান্সবাসী

ফ্রান্সে আজ রবিবার আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন দেশটির ভোটাররা। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগাম নির্বাচন ঘোষণার পর মাত্র ২০ দিন সময় পেয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে এবার নির্বাচনে ইতিহাস গড়ে ক্ষমতায় আসার আশা করছে কট্টর ডানপন্থীরা। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

প্যারিসের একটি ভোটকেন্দ্রে রবিবার ভোট দেন এক তরুণ ভোটার

ফ্রান্সে পার্লামেন্টের নিন্মকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দ্বি-দফা নির্বাচন অর্থাৎ, ৫৭৭ আসনে দুই দফায় ভোট হয়ে থাকে। আজ রবিবার প্রথম দফায় এবং এক সপ্তাহ পর আগামী রবিবার দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে।

আজ সন্ধ্যার দিকে কিছু কিছু আসনের ফল পাওয়া গেলেও চূড়ান্ত ফল মিলবে ফল দ্বিতীয় দফা ভোটের পর। দেশটিতে এবার ভোটার ৪ কোটি ৯০ লাখের বেশি।

নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালী (আরএন) প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসতে পারে- ইঙ্গিত মিলেছে। মেরিন লে পেন ও জর্ডান বারদেলার নেতৃত্বাধীন দলটি অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনাকারী হিসেবে পরিচিত।

আরএন পার্টির প্রধান জর্ডান বারদেলা এবার দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতে চান এবং তার দল প্রথম রাউন্ডে কয়েক ডজন আসনে সরাসরি জয়ী হওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।

২৮ বছর বয়সী জর্ডান বলেছেন, তার দলটি ২৮৯ আসনে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠন করবেন। কোনো ঝুলন্ত বা অচল পার্লামেন্টে নেতৃত্ব দিতে চান না তিনি।

এবার নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দল রেনেসাঁ পার্টি নিজেদের অর্ধেকের বেশি আসন হারাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বাচনপূর্ব জরিপে দেখা গেছে, ম্যাক্রোঁর জোট ২০-২১ শতাংশ ভোট পেতে পারে।

বিদায়ী সরকারে পার্লামেন্টে ২৫০ আসন ছিল ম্যাক্রোঁর দলের। তাই যেকোনো আইন পাস করতে অন্যান্য দলের সমর্থনের জন্য ধর্না দিতে হয়েছে তার।

এছাড়া গত ৬-৯ জুন ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিজ দেশের ডানপন্থিদের কাছে ধরাশায়ী হন ম্যাক্রোঁ  এবং এতেই তড়িঘড়ি করে ফ্রান্সে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেন। যদিও তার এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ জোটের শরীকরা।

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে মেরিন লে পেনের আরএন পার্টি ৩২ শতাংশ ভোট পায়, যেখানে ম্যাক্রোঁর দল পেয়েছে মাত্র ১৪ শতাংশ ভোট।