গাজায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ভয়াবহ, সতর্ক করে দিলো জাতিসংঘ

ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, জরুরি ঔষধ ও জ্বালানি তেলের তীব্র ঘাটতির কারণে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটছে।

ছবি - সংগৃহীত

এক বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, `গাজার মানুষের জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন। ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির মধ্যে মাত্র কয়েকটি কেন্দ্র সীমিত পরিসরে সেবা প্রদান করতে পারছে।'

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, `জরুরি ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করতে আর দেরি করা যাবে না।'

ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীরা গাজার মধ্যাঞ্চলীয় নুসাইরাত এলাকায় সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তবে, ঔষধ ও জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের ভিত্তিহীন অভিযোগের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমাণী ইউএনআরডব্লিউএ'র তহবিল সহায়তা স্থগিত করেছে। ফলে সংস্থাটি তীব্র আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।

ইসরায়েল দাবি করে আসছে যে ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীরা হামাসের সঙ্গে জড়িত, যা ইউএনআরডব্লিউএ বারবার খণ্ডন করেছে। কোন প্রমাণ ছাড়াই ইসরায়েল ইউএনআরডব্লিউএ'কে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তীব্র লবিং চালিয়ে যাচ্ছে।

ইউএনআরডব্লিউএ হলো জাতিসংঘের একমাত্র সংস্থা, যাদের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মৌলিক চাহিদা পূরণের ক্ষমতা রয়েছে। ইসরায়েল মনে করে, ইউএনআরডব্লিউএ বন্ধ হয়ে গেলে ফিলিস্তিনি শরণার্থী সমস্যাও শেষ হয়ে যাবে এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের তাদের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার নিয়ে আর কোন আলোচনার প্রয়োজন হবে না।

তহবিল সংকটের পাশাপাশি, গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ সহায়তা প্রদানেও ইউএনআরডব্লিউএ'র সাথে ইসরাইল অসহযোগিতা করছে। ইসরায়েল গাজায় সকল সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে এবং ত্রাণ সহায়তা প্রদানে বাধা দিচ্ছে। বিশেষ করে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সহায়তা প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।