রাওয়ালপিন্ডি কারাগার: ইমরানের জন্য নতুন যুদ্ধক্ষেত্র?

পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন এক নাটকের পটভূমি তৈরি হলো রাওয়ালপিন্ডি কেন্দ্রীয় কারাগারকে কেন্দ্র করে। কারাগারটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার অভিযোগ তুলে ইসলামাবাদ হাইকোর্টকে বিচারিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন কারাবন্দী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

ইমরান খান

আইনজীবী শোয়েব শাহীনের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনে ইমরান দাবি করেছেন, আইএসআই-এর একজন কর্নেল এবং একজন মেজর তার বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারা কর্তৃপক্ষের ওপর প্রভাব খাটাচ্ছেন। এর ফলে, আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও, তাকে পিটিআই নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি, আইনজীবীদের সঙ্গেও তার সাক্ষাতের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে।

আবেদনে বলা হয়েছে, ‘এটা স্পষ্ট করা হচ্ছে যে এই আদেশটি আমাদের আইনী ব্যবস্থার মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্য রক্ষা, পুনরাবৃত্তি এবং সংরক্ষণের জন্য পাস করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে আবেদনকারীর পরিচয়ের খুব কমই সম্পর্ক রয়েছে। এই মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্য সবার জন্য প্রযোজ্য হওয়া উচিত, আবেদনকারী যেই হোক না কেন, তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যখন বন্দী ব্যক্তি শুধুমাত্র একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা নয়, বরং জাতির সর্বোচ্চ নির্বাহী পদের প্রাক্তন ধারকও হন, তখন এসব বিষয় আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।’

আবেদনকারী আরও বলেন, জাতীয় জবাবদিহিতা অধ্যাদেশ (এনএও) আইনে সংশোধন সংক্রান্ত একটি আপিলের শুনানির সময় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট স্বীকার করেছে যে পিটিআই এবং আবেদনকারীর প্রতি জনগণের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। শীর্ষ আদালত দলটিকে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সুযোগ দিতে রাজনৈতিক সংলাপের পরামর্শ দিয়েছে।

কিন্তু, আইএসআই-এর হস্তক্ষেপের কারণে সেই পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইমরান খান।

কারা ম্যানুয়ালের নিয়ম অনুযায়ী, একজন বন্দীর সপ্তাহে দু’বার আইনজীবী ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের অধিকার রয়েছে। অথচ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তাকে প্রতিদিন ১৫ জনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।