নেতানিয়াহু আশঙ্কা: গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আইসিসি!

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আশঙ্কা করছেন, ২৪ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। ২৬ জুন, বুধবার ইসরায়েলি পত্রিকা ইয়েদিওথ আহরোনোথ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়েছে, ২৫ জুন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ইসরায়েলি মন্ত্রিপরিষদে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা করেছেন নেতানিয়াহু। ওই বৈঠকে বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার এবং অ্যাটর্নি জেনারেল গ্যালি বাহারভ-মিয়ারা উপস্থিত ছিলেন।   

পত্রিকাটি জানিয়েছে, নেতানিয়াহু আশঙ্কা করছেন আইসিসি শীঘ্রই প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানের অনুরোধে সাড়া দিয়ে তার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। সম্ভবত ২৪ জুলাই মার্কিন কংগ্রেসের সামনে তার আসন্ন বক্তৃতার আগেই এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। 

২০ মে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতের প্রতি অনুরোধ করেছিলেন। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়। কিন্তু যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত একজনকে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও গ্রেপ্তার না করলে সমালোচনার মুখে পড়তে পারে দেশটি। 

অবশ্য ইসরায়েলও আইসিসির সদস্য নয়। তবে ২০১৫ সালে ফিলিস্তিন এই আদালতের সদস্য হয়।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক সংস্থা যা জাতিসংঘ বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নয়। এই আদালতের সিদ্ধান্তগুলো বাধ্যতামূলক। ১২৩টি দেশ রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছে, যা আইসিসির ক্ষমতাকে সংজ্ঞায়িত করে। এই দেশগুলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে এবং ওয়ারেন্টে নামধারী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি