স্বস্তির ম্যাচে এমবাপ্পে-ফ্রান্সের অস্বস্তি

ফ্রান্সের জার্সিতে ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ইউরোপের নতুন টুর্নামেন্ট উয়েফা নেশনস লিগেও শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দেশের হয়ে এমবাপ্পের একমাত্র আক্ষেপ ইউরোপ সেরার ট্রফি। যেটার স্বাদ এখনও পাননি রিয়াল মাদ্রিদ ফরওয়ার্ড।

মাস্ক পরে মাঠে নামেন ফ্রান্স অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে। ছবি: ফেসবুক

এবার জার্মানিতে চলমান ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে আক্ষেপ ঘোচানোর স্বপ্ন দেখছেন এমবাপ্পে। ফ্রান্সের আশা রাজত্ব উদ্ধারের। কিন্তু তাদের স্বপ্নযাত্রাটা ভালো হচ্ছে না। জয় দিয়ে আসর শুরু করলেও পরপর দুই ম্যাচে হোঁচট খেয়েছে ফ্রান্স। এবার তাদের রুখে দিয়েছে ধুঁকতে থাকা পোল্যান্ড।

মঙ্গলবার রাতে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে ফ্রান্সকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে পোল্যান্ড। ম্যাচের দুটো গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। দুটিই অবশ্য পেনাল্টি থেকে। গোল দুটি করেছেন আবার দুই দলের সেরা ফুটবলার এমবাপ্পে ও রবার্ট লেভানডফস্কি।

প্রথম ম্যাচে নাক ফেটে যায় এমবাপ্পের। মাস্ক পড়ে তার মাঠে নামার কথা থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচের পুরোটা সময় বেঞ্চে বসে কাটিয়েছেন তিনি। অবশেষে পোল্যান্ড ম্যাচের শুরুর একাদশেই ফেরেন এমবাপ্পে। মাস্ক পরে মাঠে নামেন তিনি। কিন্তু তার উপস্থিতি ততটা উজ্জীবিত করতে পারেনি ফ্রান্সকে।

ডর্টমুন্ডের ম্যাচে প্রথমার্ধ কেটেছে গোলশূন্য ড্রয়ে। ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। পুরো ক্যারিয়ারে এই টুর্নামেন্টে এটাই তার প্রথম গোল। শুধু অধিনায়কই নয়, এই গোলে অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে ফ্রান্সেরও। প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচ পর গোল পেল তারা।

এমবাপ্পে এই গোলের ওপর দাঁড়িয়ে জয়ের আশায় ছিল ফ্রান্স। কিন্তু ৭৯ মিনিটে রক্ষণের ভুলের কারণে জয় পায়নি পোল্যান্ড। পেনাল্টি থেকে পোল্যান্ডকে সমতায় ফেরান লেভানডফস্কি। দ্বিতীয়বার আর জালের নাগাল পায়নি কোনো দল। তাই অস্বস্তি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো ফেভারিট ফ্রান্সকে।

এই হোঁচটে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করল ফ্রান্স। তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হলো তারা। ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে অস্ট্রিয়া। গ্রপের তৃতীয় সেরা দলের কোটায় নক আউট পর্বে উঠেছে চার পয়েন্ট পাওয়া নেদারল্যান্ডস। এক পয়েন্ট পুঁজি করে বিদায় নিয়েছে পোল্যান্ড।

নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়েছে যাদের: জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, পর্তুগাল, ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া।

বিদায় নিশ্চিত হয়েছে যাদের: স্কটল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, আলবেনিয়া, পোল্যান্ড, সার্বিয়া।