আফগানিস্তানের ইতিহাস, ব্রায়ান লারাকে ধন্যবাদ দিলেন রশিদ খান

নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে আফগানিস্তান। প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পা রেখেছে রশিদ খানের দল। পুরো দলের দারুণ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি সেমিফাইনালে উঠার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাকেও এর কৃতিত্ব দিলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।

 সেমিফাইনালে উঠে হাস্যজ্জ্বল রশিদ খান। ছবি: ক্রিকইনফো

টুর্নামেন্টের শুরুতেই ব্রায়ান লারা বলেছিলেন, তিনি আফগানিস্তানকে সেমিফাইনালে দেখছেন। সেটাই বাড়তি তাগিদ দিয়েছিল আফগানিস্তানকে! তাই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ব্রায়ান লারাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান আফগানিস্তান অধিনায়ক।

মঙ্গলবারের (২৫ জুন) বাংলাদেশ – আফগানিস্তান ম্যাচের ওপর ঝুলছিল তিন দলের সেমিফাইনাল ভাগ্য। শেষ চারের লক্ষ্যে আফগানদের বিপক্ষে বল হাতে দারুণ শুরু এনে দেন বাংলাদেশের বোলাররা। মাত্র ১১৫ রানেই আটকে ফেলে রহমানুল্লাহ গুরবাজ-ইব্রাহূম জরদানদের। সেমিতে যেতে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো নাজমুল হোসেন শান্তদের। কিন্তু সেটা তো দূরের কথা, শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে ৮ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হারে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ারও।

আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথমবার সেমিফাইনালে আফগানিস্তান। ক্যাপ্টেন রশিদ খান বলেন, ‘সত্যি বলতে, অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই। তবে আমাদের সেমিফাইনালের কৃতিত্ব দিতে হবে ব্রায়ান লারাকেও। তিনিই একমাত্র ব্য়ক্তি যিনি বিশ্বাস করেছিলেন, আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারি। তার এই বিশ্বাস টুর্নামেন্টের শুরুতে আমাদের তাতিয়েছিল। আমরা যখন তার সঙ্গে একটা পার্টিতে দেখা করেছি তখন তাকে বলেছিলাম যে আমরা তাকে হতাশ করব না। তাকে বিশেষ ধন্যবাদ।’

আফগানিস্তানের ঘরের সমর্থকদের নিয়ে রশিদ বলেন, ‘আমরা ঘরের লোকদের খুশি করতে চেয়েছি। সবাই এটার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। আফগানিস্তানে এখন দারুণ উৎসব চলছে। আমাদের জন্যও এটা অনেক বড় অর্জন। আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে এর আগে এখানে পৌঁছেছি, কিন্তু এটা বিশ্বকাপ। আমার বলার ভাষা নেই যে আফগানিস্তানে এখন কতবড় উৎসব চলছে।’