দেশে নিবন্ধিত মোবাইল সিমের অর্ধেকই নিষ্ক্রিয়!

মোবাইল কোম্পানিগুলোর গ্রাহকদের নিবন্ধিত সিমের প্রায় অর্ধেকই নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে। দেশে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার। এর মধ্যে সক্রিয় ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার। সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মোবাইল ফোনের সিম কার্ড

সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল মালেক সরকারের প্রশ্নের জবাবে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটর রয়েছে চারটি। সেগুলো হচ্ছে, গ্রামীণফোন লিমিটেড, রবি অজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেড ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড।

গ্রামীণ ফোনের নিবন্ধিত সিম রয়েছে ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৫টি। এছাড়া বাংলালিংকের সিম ৯ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬২টি, রবির সিম রয়েছে ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার ৮০০টি এবং টেলিটকের রয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ২৮৩টি সিম।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, দেশে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার সক্রিয় সিম রয়েছে। তার মধ্যে গ্রামীণফোনের সক্রিয় সিম রয়েছে ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার, রবির রয়েছে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার, বাংলালিংকের সিম সক্রিয় রয়েছে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার এবং টেলিটকের সক্রিয় সিম রয়েছে ৬৫ লাখ ৫০ হাজার।

আওয়ামী লীগের আরেক সাংসদ নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, দেশে বর্তমানে লাইসেন্সধারীর ইন্টারনেট সরবরাহকারীর সংখ্যা ২৬৫০টি। সারা দেশে ইন্টারনেট সেবার দ্রুত বিস্তার এবং গুণগত ও মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিটিআরসি থেকে ন্যাশনওয়াইড, বিভাগীয়, জেলা ও থানা বা উপজেলাভিত্তিক এই চার ধরনের আইএসপি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় দ্রুত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। আইএসপি গাইডলাইনের বিধান মোতাবেক সব আইএসপি অপারেটরকে আইআইজি প্রতিষ্ঠান হতে ব্যান্ডউইথ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে পলক জানান, ২০১৯ সালে বিটিসিএলের গ্রাহক ছিল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯২২ জন। বর্তমানে ২০২৪ সালের ১২ জুন পর্যন্ত তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫০ জনে। অর্থাৎ গত ৫ বছরে বিটিসিএলের গ্রাহক কমেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭২ জন।