রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ গড়িয়েছে ৮৫০তম দিনে

রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ ৮৫০তম দিনে গড়িয়েছে আজ সোমবার (২৪ জুন)। একে অপরের ভূখণ্ডে পাল্টাপাল্টি হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে দুই দেশ। বেশির ভাগই চালানো হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা। এতে প্রতিদিনই উভয়পক্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

খারকিভে রুশ বিমান হামলার পর ঘটনাস্থল দেখছেন ইউক্রেনের বোম্বস্কোয়াড সদস্য

রুশ কর্মকর্তারা আজ সোমবার জানিয়েছেন, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের রুশ-অধিভুক্ত শহর সেভাস্তোপলে রবিবার রাতভর ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় চারজন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনের নিক্ষিপ্ত পাঁচটি এটিএসিএমএস দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে চারটি গুলি করে ধ্বংস করেছে রুশ বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী। পঞ্চমটি মধ্যআকাশে বিস্ফোরিত হয়েছে।

রাশিয়ার অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জন্য দায়ী। কেননা, তারাই ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে এবং রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমোদন দিয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার বাহিনী। কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রবিবার অন্তত দুইজন আহত হয়েছে এবং কয়েক ডজন আবাসিক ও অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে সম্প্রতি হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। রবিবার রাতে খারকিভ শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় একটি গ্লাইড বোমা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ জানান, রুশ গ্লাইড বোমা হামলায় অন্তত একজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে৷ মেয়র ইহোর তেরেখভ জানিয়েছেন, একটি বিদ্যুৎস্থাপনায় হামলার কারণে খারকিভের প্রায় অর্ধেক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।

ইউক্রেনের এনার্জি অপারেটর ইউক্রেনারগো জানিয়েছে, বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোতে রাশিয়ার হামলার কারণে সোমবার সারা দেশে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুত ব্ল্যাকআউট আরোপ করা হবে৷

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রুশ সেনাবাহিনী ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। তারপর থেকেই দুই পক্ষ হামলা-পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের লোহানস্ক-দোনেৎস্কসহ পূর্বাঞ্চলীয় কিছু অঞ্চল দখলের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। তাছাড়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।