ট্রাম্পের সহযোগীরা সবাই ‘রাশিয়া প্রেমিক’!

গত ২৫০ বছরের স্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রে যা হয়নি এবার যেনো ঠিক তাই ঘটতে চলেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিন সপ্তাহের শাসনামল যেনো টালমাটাল গোটা বিশ্ব। একের পর এক ঘটনায় খবরের শিরোনাম হচ্ছেন ট্রাম্প নিজে বা তার সহযোগীরা।

সর্বশেষ ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে তাতে ট্রাম্প প্রশাসনের নাক কাটা যাওয়ার যোগাড়। মাইকেল ফ্লিনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আঁতাত ও তথ্য পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমন ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের বিস্ময়, এই লোক হোয়াইট হাউজের মতো এমন স্পর্শকাতর জায়গায় কীভাবে দায়িত্ব পেলো। মুখে না বললেও অনেকেই এ জন্য স্বয়ং ট্রাম্পকেই দায়ী করেছেন।

তবে সবচেয়ে বড় বোমাটা ফাটিয়েছে বোধ হয় সিএনএন। তারা জানিয়েছে, শুধু ফ্লিন নয়, ট্রাম্পের আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ঘনিষ্ঠের সঙ্গে রাশিয়ার গোপন আঁতাত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার বরাতে এই খবর জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি।

সিএনএন জানায়, রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন এমন কয়েকজন ট্রাম্প সহযোগী হলেন, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা বিষয়ক ব্যবস্থাপক পল মানাফোর্ট, সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কার্টার পেজ এবং সদ্য পদত্যাগ করা সেনা কর্মকর্তা জেনারেল মাইকেল ফ্লিন। এই ফ্লিন আবার ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগকৃত ছিলেন!

বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের এই সহযোগীদের ব্যাপারে নির্বাচনের আগেই তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ট্রাম্পকে জানানো হয়েছিলো। কিন্তু ট্রাম্প এই অভিযোগ হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

এদিকে সিএনএন-এর এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা টিমের ম্যানেজার মানাফোর্ট। তিনি অভিযোগ করেন, ষড়যন্ত্র করেই এসব করা হচ্ছে।
তবে সম্ভবত খুব সহজেই ব্যাপারটি মিটে যাচ্ছে না। রিপাবলিকান দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সাথে ট্রাম্প সহযোগীদের যোগাযোগের বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।