সাকিব: তিনটা জিতেছি, তিনটা হেরেছি, খুব একটা খারাপ না

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সুপার এইটে উঠেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে একপেশে হেরে সমালোচনার মুখে টাইগাররা। ভারতের কাছে ৫০ রানে হারার পর সাকিব আল হাসান জানান, বিশ্বকাপ মিশন খুব একটা খারাপ ছিল না এটা। তবে আরও একটু লড়াই আশা করেছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বৃষ্টি বাগড়া দেয় অ্যান্টিগায়। বৃষ্টি আইনে অস্ট্রেলিয়া ২৮ রানে জিতেছিল। ভারতের ম্যাচে হারের ব্যবধানের চেয়ে বাংলাদেশ রক্ষণাত্বক খেলেছে এটা সবাই একবাক্যে মেনে নেবে। আরও একটু আগ্রাসী বাংলাদেশকে দেখতে চেয়েছিলেন সমর্থকরা। সাকিব অবশ্য ঢাল হয়ে বাংলাদেশকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন।

সাকিব আল হাসান। ছবি: বিসিবি

ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ধীরগতির ব্যাটিং করেছে। এতে সবাই অবাক হন। বাংলাদেশ পুরো ২০ ওভার খেলে ১৪৬ রান তুলেছে। সাকিব মনে করেন, বাংলাদেশ ৫০ শতাংশ সফল হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। যদিও একটু আফসোসও আছে।

বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারায় টাইগাররা (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে)। আর সুপার এইটে পরপর দুই ম্যাচে পরাজয় তাদের। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘যদি ফলের দিক থেকে বলেন, তবে আমি বলব আমরা মোটামুটি একটা অবস্থানে আছি। আমরা তিনটা জিতেছি, তিনটা হেরেছি। ৫০ শতাংশ হয়। সেদিক থেকে খুব একটা খারাপ না। তবে আমরা যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে লড়াই করেছি, এই দুইটা (সুপার এইট) ম্যাচের একটাতে যদি সেভাবে লড়াই করতে পারতাম, তখন বিশ্বকাপটা আমাদের জন্য সফল একটা টুর্নামেন্ট হতো। সে জায়গায় আক্ষেপ আছে।’

বাংলাদেশের ব্যাটিং ভালো হয়নি। একবাক্যে সাকিব সেটা মেনেও নিয়েছেন। আরও উন্নতির জায়গা রয়েছে বলে মনে করেন এই অলরাউন্ডার, ‘ব্যাটিং আসলেই হতাশাজনক ছিল। বড় কারণ হতে পারে ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসের অভাব। বিশেষ করে এই মাঠে যে দুইটা ম্যাচ খেলেছি, সেখানে ১৭৫–১৮৫ হচ্ছে মোটামুটি স্কোর। সেটার নিচে হলে আসলে কঠিন। সে জায়গা থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম। আগের দিন ১৪০ করার পর আজকে ১৪৮ করছি। কিন্তু আগের দিনের পর আজকে আমাদের আরও ভালো অবস্থায় থাকা উচিত ছিল। কারণ, আমরা জানতাম, কোন টার্গেটে ব্যাটিং করছি। আমার মনে হয় আমরা প্রথম থেকেই ওই অবস্থাতে যাইনি, যেখানে আমরা মানুষকে বোঝাতে পারব যে চেষ্টা করছি। এই জায়গাটা আমার কাছে দুঃখজনক।’

বাংলাদেশ ২৫ জুন ভোরে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে খেলবে আফগানিস্তানের সঙ্গে। সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা আর নেই। বাংলাদেশ শেষটা ভালো করে আসবে এমন বিশ্বাস সবার।