পুতিন: যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায় ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় প্রস্তুত রাশিয়া

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কো যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায় ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তবে পশ্চিমারা ইউক্রেনে তার শান্তি উদ্যোগের বিরোধিতা করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর আনাদোলু।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

বক্তব্যে পুতিন প্রশ্ন রাখেন, কেন রাশিয়ার প্রস্তাবকে অবাস্তব বলে সমালোচনা করা হচ্ছে। যেখানে একইভাবে ইউক্রেনের দেওয়া আল্টিমেটামের কোনো সমালোচনা করা হয়নি। এমনকি সেখানে মস্কোর জন্য অগ্রহণযোগ্য কিছু শর্তও রাখা হয়েছে। সে ব্যাপারে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি।

ভিয়েতনাম সফররত পুতিন বলেন, বুদ্ধিমান রাজনীতিবিদরা যদি সত্যই সংঘাতের অবসান ঘটাতে চান, তাহলে তারা ইউক্রেনের বিষয়ে রাশিয়ার প্রস্তাব নিয়ে ভাববেন। এ সময় তিনি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে শর্তের ধারাও পাল্টে যেতে পারে।

এ সময় পুতিন জোর দিয়ে বলেন, কিয়েভ যদি ইউক্রেন থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়টিকে শান্তি আলোচনার সূচনার সঙ্গে যুক্ত করে, তাহলে কখনই এ আলোচনা হবে না।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

বক্তব্যের একপর্যায়ে পুতিনকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈধতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে হয়ত পশ্চিমারা তার জায়গায় অন্য কাউকে বসাবে।

ন্যাটো জোটের পারমাণবিক বাহিনীকে সতর্ক করার বিষয়ে সংস্থার মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের মন্তব্যের বিষয়ে পুতিন বলেন, রাশিয়া এর উদ্দেশ্যগুলো ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজন হলে এর পর্যাপ্ত জবাবও দেওয়া হবে।

পুতিন বলেন, তারা বিরোধীদের পদক্ষেপর ওপর ভিত্তি করে পারমাণবিক মতবাদে পরিবর্তনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। তবে এতে পূর্বনির্ধারিত কোনো পারমাণবিক হামলাকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেই জানিয়ে পুতিন বলেন, রাশিয়ান বাহিনী কেবল প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম ‘পাল্টা হামলা চালায়’।

এর আগে সুইজারল্যান্ডে এক শান্তি সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেন থেকে তার সব সেনা সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দখলকৃত সব অঞ্চল ছেড়ে দিলে আগামীকালই শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি কিয়েভ। রাশিয়া আবার জানিয়েছিল, রাশিয়ার সঙ্গে অঙ্গীভূত জায়গাগুলো ছেড়ে দিয়ে ইউক্রেনের সেনা আরও ভেতরের দিকে নিয়ে গেলেই শান্তি আলোচনা সম্ভব। মূলত বিপরীত দুই মেরুতে অবস্থানরত দুই প্রতিপক্ষের আলোচনার মধ্যে পুতিন আবারও শান্তি প্রচেষ্টা নিয়ে কথা বললেন।