সুইজারল্যান্ড-স্কটল্যান্ড: জোড়া ভুলে জেতেনি কেউ

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের (ইউরো ২০২৪) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সুইজারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। ম্যাচটিতে কোনো দলই পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি। ১-১ গোলের ড্রয়ে শেষ হয়েছে দুই দলের লড়াই। উভয় দলই নিজেদের ভুলে গোল হজম করেছে।

ম্যাচের একটি দৃশ্য

কলোগ্নো স্টেডিয়ামে দুই রকমের অভিজ্ঞতা নিয়ে খেলতে নেমেছিল সুইজারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হাঙ্গেরিকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছিল সুইসরা। অন্যদিকে স্কটিশদের শুরুটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। উদ্বোধনী ম্যাচে আয়োজক জার্মানির কাছে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় তারা।

জার্মান ম্যাচের তিক্ততা ভুলে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেছে স্কটল্যান্ড। বল দখলে সামান্য পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করেছে তারা। গোলপোস্টে তাদের নেওয়া ১২ শটের মধ্যে তিনটি লক্ষ্যে ছিল। বিপরীতে ১১ শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে সুইজারল্যান্ড।

ম্যাচের দুটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। ১৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্কটল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডের কর্নার রুখে দিয়ে আক্রমণে উঠে দলটি। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে সুইসদের পোস্টে শট নেন স্কট ম্যাকটোমিনে। বল সোজা আসতে থাকায় ঠেকিয়ে দিতে পারতেন সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক ইয়ান সমের।

কিন্তু বিপত্তি ঘটান ফাবিয়ান শার। সমেরের কাছে বল যাওয়ার আগেই পা বাড়িয়ে আটকানোর চেষ্টা করেন তিনি। নিউক্যাসল ইউনাইটেড ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল দিক পাল্টে জালে জড়ায়। প্রতিপক্ষের ভুলে গোল পেলেও বেশিক্ষণ লিড ধরে রাতে পারেনি স্কটল্যান্ড।

নিজেদের অর্ধে বল দেওয়া নেওয়া করছিল স্কটল্যান্ডের ফুটবলাররা। হঠাৎ একটি ভুল ব্যাকপাস করে বসেন স্কটিশদের রাইটব্যাক অ্যান্থনি রেসলটন। বল পেয়ে যান জেরডান শাকিরি। সুযোগ পেয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ৩২ বছর বয়সী এই সুইস উইঙ্গার।

প্রথমার্ধের বাকি সময় এবং বিরতির পর ব্যবধান বাড়ানোর জন্য কোনো দলের প্রচেষ্টার কমতি ছিল না। যদিও নিজেদের ভুলে একক হাসি হাসতে পারেনি কোনো দল।