বিশ্বকাপে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব!

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টুর্নামেন্টের প্রথম দিকের কিছু ম্যাচ হয়েছে মার্কিন মুল্লুকে। এসব ম্যাচের পিচ নিয়ে ছিল ব্যাপক সমালোচনা। এ ছাড়া ছোটখাটো কিছু ভুল ছাড়া বেশ পরিষ্কার ভাবমূর্তি নিয়ে নবম আসরের প্রথম ধাপের খেলা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ শুরুর আগ মুহূর্তে বিশ্বকাপে লেগে গেল ‘ফিক্সিং’-এর কালো দাগ।

উগান্ডার এক ক্রিকেটারকে দেওয়া হয়েছিল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব। ছবি: সংগৃহীত

কেনিয়ার সাবেক এক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে । যদিও আইসিসির তৎপরতায় অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনা বেশিদূর যেতে পারেনি। ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সেই ক্রিকেটারকে আগেই বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছিলো বলেই ঘটনাটি শুরুতেই সমাধান হয়েছে।

সংবাদ সংস্থাটির তথ্যমতে, গায়ানায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। উগান্ডার এক ক্রিকেটারের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ফোন নম্বর থেকে কেনিয়ার ওই সাবেক বোলার বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই উগান্ডার পক্ষ থেকে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগকে অবহিত করলে তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব এলে আইসিসিকে না জানানোও অপরাধের শামিল বলে ধরা হয়। এমন ঘটনায় এর আগে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর মধ্যে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান একজন। সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক ফিক্সিংয়ে জড়িত না থাকলেও তথ্য গোপনের দায়ে নিষিদ্ধ হন। আইসিসিকে না জানানোয় দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। যদিও পরে সে শাস্তি এক বছর কমে আসে।

পিটিআইকে আইসিসি থেকে জানানো হয়েছে, উগান্ডার ক্রিকেটারকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য লক্ষ্য বানানো হয়েছে, এতে আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই। সাধারণত সহযোগী দেশগুলোই পরাশক্তিদের তুলনায় এক্ষেত্রে সহজ লক্ষ্য হয়ে থাকে। কিন্তু এটা ভালো বিষয় যে, তারা দ্রুত আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ফলে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া গেছে। তবে কোন ক্রিকেটারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ও অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করেনি আইসিসি।

উল্লেখ্য, আজই (মঙ্গলবার) শেষ হলো চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব। আগামীকাল (বুধবার) থেকে শুরু হবে সুপার এইটের খেলা।