ইউরোতে রোনালদোর বড় ভাবনা

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বিশ্বাস করেন এই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের অন্যতম দাবিদার পর্তুগাল। ২০১৬ সালে তারা এই শিরোপা জয় করেছিল ফ্রান্সকে হারিয়েছে। আবারও বড় কিছু করতে জার্মানিতে এসেছে তারা। ১৮ জুন লাইপজিগে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে আসরের প্রথম ম্যাচ খেলবেন রোনালদোরা। ৩৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার শেষ ইউরো খেলতে এসেছেন। তার ক্যারিয়ারের ছয় নম্বর আসর। শেষটা রাঙিয়ে দিতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক।

ক্যারিয়ারের শেষ ইউরো রাঙিয়ে দিতে চাইবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ছবি: এক্স

পর্তুগালের গ্রুপ (এফ) সহজ নয়। তুরস্ক ও জর্জিয়াও রয়েছে। তবে চেক প্রজাতন্ত্র বড় হুমকি। বড় দলের বিপক্ষে তারা ভাল খেলে। এটা মাথায় রাখবে পর্তুগাল। আত্মবিশ্বাসে ভাসছেন রোনালদো। তিনি জার্মানিতে নেমে বলেন, ‘ আমি বিশ্বাস করি এই প্রজন্মের এই আসর জেতা উচিত।’ রোনালদো ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। পরে অতিরিক্ত সময়ে এডার পর্তুগালকে জয়সূচক গোলটি এনে দিয়েছিলেন।

রোনালদো ২০০৪ সালে প্রথম ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছিলেন। এই টুর্নামেন্টে তার সর্বোচ্চ ১৪ গোল। আর পর্তুগালের হয়ে তার আন্তর্জাতিক গোল রেকর্ড ১৩০টি। আবার ইউরোতে আরেকটি অর্জনের সামনে সিআরসেভেন। অস্ট্রিয়ার লিভিকা ভাস্টিক ২০০৮ সালে ৩৮ বছর ২৫৭ দিন বয়সে গোল করেছিলেন। এখনও তিনি সবচেয়ে বেশি বয়সী গোল স্কোরার ইউরোতে। রোনালদো গোল করলে তিনি সবচেয়ে বেশি বয়সী গোলদাতা হবে। বয়স নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না রোনালদো, ‘ আমি ফুটবল উপভোগ করার পাশাপাশি রেকর্ড ও ধারাবাহিকতা পছন্দ করি। আমি লক্ষ্য নিয়ে আসিনি। স্বাভাবিকভাবে চলে আসে। ষষ্ঠ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে এসে আমি খুশি। আর ভাল খেলতে চাই যেন দল জয় পায়।’

রোনালদো ফুরিয়ে গেছেন এমনটাই ভাবেন ফুটবল বোদ্ধারা। সৌদি আরবের আল নাসেরে খেলাটা অনেকে পছন্দ করেন না। তবে এই আসরে তরুণ পর্তুগাল দলের সঙ্গে তিনি বাড়তি কিছু হয়তো যোগ করবেন। ইউরোতে খেলতে আসার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন তিনি। রেকর্ডের জন্য তিনি খেলেন না দাবি করেছেন। কিন্তু রেকর্ড তো তাকে তাড়া করেই!