গাজায় ‘কৌশলগত বিরতির’ ঘোষণা ইসরায়েলের, নেতানিয়াহুর অসন্তোষ

দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের জন্য ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। রোববার (১৬ জুন) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ ঘোষণা দেয়। তবে এ ঘোষণায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেতানিয়াহুসহ তার মন্ত্রিসভার অনেকে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।

গাজায় কৌশলগত বিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল

আইডিএফের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১১ ঘণ্টার এই যুদ্ধবিরতি চলবে। দক্ষিণ গাজার কেরেম শালোম ক্রসিং থেকে সালাহ আল-দিন রোড এবং খান ইউনুস সিটির ইউরোপীয় হাসপাতাল পর্যন্ত রাফা এলাকায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।

খবরে বলা হয়, মূলত গাজায় মানবিক সংকট যাতে আরও খারাপ দিকে না যায়, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মিত্রদের ক্রমাগত চাপের মুখে ইসরায়েল এই ‘কৌশলগত বিরতি’র ঘোষণা দিয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কৌশলগত বিরতির ঘোষণায় অসন্তুষ্ট নেতানিয়াহু

তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়নি। তাই কৌশলগত বিরতি দেওয়া হলেও রাফা এলাকায় যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। সেখানে তারা হামাসের অবশিষ্ট যোদ্ধাদের নির্মূল করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টসহ অনেকেই এই ‘কৌশলগত বিরতি’র পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। নেতানিয়াহু যখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কর্তৃক ঘোষিত ১১ ঘণ্টার মানবিক বিরতির প্রতিবেদন শুনেছিলেন, তখন তিনি তার সামরিক সচিবের দিকে ফিরে জানান, এটি তার কাছে অগ্রহণযোগ্য ছিল।

নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির কৌশলগত বিরতির এই ধারণার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, যারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা বোকা এবং তাদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করা উচিত।

ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থী সরকারের মন্ত্রীরা গাজায় আসা সাহায্যের পরিসর আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। রাফা সীমান্ত আক্রমণের পর তাদের সেই ইচ্ছা অনেকখানি পূরণ হয়েছে। তারা যখন গাজাবাসীকে আরও কঠিন অবস্থায় ফেলতে চাচ্ছেন, তখন আইডিএফের এ ঘোষণা তাদের জন্য বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করছে। তবে আইডিএফ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।