ইউরো ২০২৪: ‘আন্ডারডগে’র মুখোশে ভয়ঙ্কর ইতালি

দলে খুব বেশি তারকা ফুটবলার নেই, ফুটবল বিশ্লেষকদের আলোচনাতেও নেই খুব একটা। ফেভারিট কয়েকটা দলের তালিকাতেও দলটিকে রাখছেন না কেউ কেউ। তবে অতীতের স্মৃতি দলটিকে এগিয়ে রাখছে ওপরের দিকেই। কেননা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। বলা হচ্ছে সবশেষ দুই বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া ইতালির কথা। আজ রাত একটায় ইউরোর শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে আলবেনিয়ার মুখোমুখি হবে দলটি।

ইতালি ফুটবল দল। ছবি: ফাইল

ইউরোতে দুবার শিরোপা জিতেছে ইতালি। প্রথমবার ১৯৬৮ সালে, ফাইনালে যুগোস্লাভিয়াকে হারিয়েছিল তারা। দ্বিতীয় শিরোপার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। ২০২১ সালে শেষ হয় তাদের প্রতীক্ষার প্রহর। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতে দলটি। এ ছাড়া ২০০০ ও ২০১২ সালে ফাইনালে খেললেও ফ্রান্স ও স্পেনের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের।

এবারের ইউরোর আয়োজক দেশ জার্মানি। এখানে বেশ ভালো স্মৃতি রয়েছে ইতালির। ২০০৬ সালে জার্মানির মাটিতে সবশেষ বিশ্বকাপ জিতেছে তারা। সেবারও ‘আন্ডারডগ’ হিসেবেই আসর শুরু করেছিল ইতালিয়ানরা। দীর্ঘ ১৮ বছর পর সেই ‘আন্ডারডগ’ হিসেবেই ইউরোর মিশনে নামছে তারা। লুসিয়ানো স্পালেত্তির শিষ্যদের গায়েও সেই একই তকমা। আন্ডারডগের মুখোশে এবারও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে ইতালি।

তাদেরকে সমীহ না করার উপায় নেই। একঝাঁক পারফর্মারদের নিয়েই নতুন লক্ষ্যে অবিচল ইতালি। দলে আছেন রোমার জার্সিতে খেলা লরেঞ্জো পেলেগ্রিনি, আছেন আটলান্টা স্ট্রাইকার জিয়ানলুকা স্কামাকাসহ নিকোলো বারেল্লা, জোভান্নি দি লোরেনৎসোর মতো অভিজ্ঞরা। গোলবারের দায়িত্ব সামলাবেন পিএসজির তারকা জিয়ানলুইজি ডোন্নারুম্মা।

নতুন এই শুরু নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত স্পালেত্তি। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইতালি কোচ বলেছেন, ‘এই ম্যাচ ঘিরে অনেক আবেগ লুকিয়ে আছে। তবে সময় যত গড়াচ্ছে, স্নায়ুচাপ কেটে খুশির আবহ তৈরি হচ্ছে। ডর্টমুন্ড (ম্যাচের ভেন্যু) ফুটবল খেলার দারুণ একটি জায়গা। ছেলেরা খেলতে মুখিয়ে আছে। আশা করছি, ভালো একটা ম্যাচ উপহার দিতে পারব আমরা।’

পুরোনো সব স্মৃতি আঁকড়ে আজ নতুন মিশনে ডর্টমন্ডুতে নামছে ইতালি। আসরে বেশ শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে চ্যাম্পিয়নরা। গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচে ইতালির প্রতিপক্ষ স্পেন (২১ জুন) ও ক্রোয়েশিয়া (২৫ জুন)। মৃত্যুকূপ থেকে নক আউট পর্বে উঠে আসা যে সহজ হবে না সেটি বোঝাই যাচ্ছে!