ফারুকী: নতুন বল নিয়ে আমি যা করি তা আমার বিশেষ দক্ষতা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বসে ছিলেন সাইট বেঞ্চে। কিন্তু সেখানে থেকেই নিজেকে বেশ ভালোভাবেই ঝালাই করেছেন ফজল হক ফারুকী। যা শিখে এসেছেন তারই যেন পরীক্ষা দিচ্ছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আর তা বেশ ভালো ভাবেই উতরেও যাচ্ছেন এই বামহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার। বিশেষ করে তার নতুন বল নিয়ে দুর্দান্ত কাজের সামনেই যেন ব্যর্থ হন বড় বড় ব্যাটসম্যানরা।

ফজলহক ফারুকী

ফারুকীর আঙ্গুলের কারুকাজে চলতি বিশ্বকাপে ১১.২ ওভার বল করে এরই মধ্যে ১২ উইকেট নিয়ে ফেলেছেন। ফারুকীর বিশ্বাস ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার ডোয়াইন ব্র্যাভোর সঙ্গে কাজ করেই এমন দক্ষতা এসেছে তার হাতে, যা তাদের প্রথমবারের মতো শেষ আটে জায়গা করে দিয়েছে।

বাতাসের উভয় দিকে বল সুইং করাতে পারা ফারুকীর একটা বিশেষ দক্ষতা। শুক্রবার (১৪ জুন) পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচে সেই ঝলকই দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। পর পর দুই বলে তার আঙ্গুলের যাদুতে তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট।

ম্যাচ শেষে নিজের এই দক্ষতা নিয়ে আফগানি এই বোলার বলেন, ‘আমি যা করি তা আমার জন্য খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি যখন অনূর্ধ্ব ১৯, অনূর্ধ্ব ১৬ দলে খেলতাম তখন ভাবতাম, আমি বড় কেউ নই, লম্বা বা দ্রুত বল করতে পারি না। তাই আমি শুধু আমার দক্ষতাকে উন্নত করতে কাজ করেছি। আমি তখন দুই দিক থেকে বল করার অনুশীলন শুরু করি। আমি তখন থেকে বাতাসে সুইং করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, যা এখন আমার কাছে স্বাভাবিক।’

আইপিএলে সানরাইজার্স হায়াদ্রাবাদের হয়ে নাম লেখালেও খেলতে পারেননি এক ম্যাচও। কিন্তু শিখেছেন প্রচুর। যা দ্রুতই বিশ্বকাপে কাজে লাগাতে পেরেছেন। নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি ভরা নিয়ে ফারুকী বলেন, ‘খুবই অদ্ভুতভাবে আমি আইপিএলে কোনো ম্যাচ খেলতে পারিনি, কিন্তু আমি আমার দক্ষতা বাড়াতে কাজ করেছি। আমি শুধু আমার দক্ষতাকে শতভাগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। যা আমার দেশ আফগানিস্তানকে আরও ভালো ফলাফল দিতে সাহায্য করেছে।’

ফারুকী জানান, দলের বোলিং কোচ হামিদ হাসান হলেও লম্বা সময় তিনি ব্র্যাভোর সঙ্গে কাটিয়েছেন। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ও আইসিসি টুর্নামেন্টে এই ক্যারিবিয়ান বোলারের কাজ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন যা তাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করেছে।