রোনালদো: আমি জানি, আমার আর বেশিদিন নেই

বয়স তার ৩৯ বছর। এখনও যেভাবে বল পায়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়ান তা অবাক করার মতোই। অথচ কাতার বিশ্বকাপেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। কিন্তু পর্তুগাল ফুটবলের যুবরাজ তা উড়িয়ে দিয়েছেন নিজের পারফরমেন্স দিয়ে।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ইউরো টুর্নামেন্টে খেলার অপেক্ষায় আছেন রোনালদো। এই বয়সেও আছেনও তুখোড় ফর্মে। তারকায় ঠাসা পর্তুগাল দলে এখনও সবচেয়ে বড় ভরসার নাম রোনালদোই। তাই তো নিজের দেশকে সব কিছুর থেকে এগিয়েও রাখছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, নিজের দেশকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে ভালোবাসেন।

চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ইউরোপের সেরাদের নিয়ে ইউরো ২০২৪ শুরু হতে যাচ্ছে। তবে রোনালদোর পর্তুগালকে মাঠে দেখা যাবে ১৯ জুন। এর আগে নিজেদের প্রস্তুতিটাও ভালো হয়েছে তাদের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। এই ম্যাচের নায়ক সেই রোনালদোই। জোড়া গোল এসেছে তার পা থেকে।

এই গোল নিয়ে রোনালদোর আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০টি। বয়স ৩০ এর পর যেন আরও বেশি পরিণত হয়েছেন তিনি। এ সময়ে তিনি ৭৮টি গোলের দেখা পেয়েছেন। তবে ফুটবলের ক্যারিয়ার যে আর বেশি দিন টেনে নিতে পারবেন না তা বুঝে গেছেন এই পর্তুগাল ফরোয়ার্ড। এত বছর ধরে খেলতে পারাটা তার জীবনে পাওয়া একটা বিশেষ উপহার হিসেবেই মনে করেন তিনি।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'আমি জানি, ফুটবল ছাড়তে আমার আর বেশিদিন নেই। বয়স ৩৫ হয়ে যাওয়ার পরও বছরের পর বছর খেলতে পারাটা একটা উপহার। আমার এখন ৩৯ এবং প্রত্যেকটা বছর এখন উপভোগের (নিজের খেলা)। জাতীয় দলের জন্য গোল করাটা বিশেষ অনুভূতির। জাতীয় দল আমার জীবনের ভালোবাসা, ইউরো জিততে পারলে একটা স্বপ্ন পূরণ হবে।'

২০০৩ সাল থেকে পর্তুগালের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই মহাতারকা। সেই থেকেই চলছে তার ‘কারিশমা’। এই তারকার নেতৃত্বেই ২০১৬ সালে ইউরো জয় করে পর্তুগাল, যা দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা।

জাতীয় দলে খেলা নিয়ে রোনালদো বলেন, 'আমার জন্য জাতীয় দলে খেলাটা আবেগের, ভালোবাসার। যে কোনো খেলাই (জাতীয় দল) স্পেশাল, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ স্পেশাল, এটা আমার ষষ্ঠ, যেটি একটা রেকর্ডও বটে! আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। ২০০৪ সালে খেলার মধ্য দিয়ে আমার অভিষেক (ইউরোতে), সেখান থেকে আজকে পর্যন্ত খেলাটা সবসময় গর্বের ও আবেগের। এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।

ইউরোতে নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত জানিয়ে রোনালদো বলেন, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় আছি। আমি প্রস্তুত, আমি সবসময় সেরা প্রস্তুতিটা নিয়ে থাকি, আমি শতভাগ পেশাদার। আমি প্রস্তুত বরাবরের মতো আমার দেশকে সাহায্য করার জন্য (ইউরোতে) এবং কোচের সিদ্ধান্ত মান্য করতে।'