টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: যেখানে আছে বাংলাদেশও, নেই অস্ট্রেলিয়া

২০১৬ সালের ১৩ মার্চ। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের এক বিশেষ দিন। ভারতের ধর্মশালার এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল দেখা পেয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার প্রথম সেঞ্চুরি। এমন কীর্তি এখন পর্যন্ত আর কোনো বাংলাদেশি করে দেখাতে পারেননি।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের উদযাপন। ছবি: ফাইল ছবি

তামিমের ব্যাট থেকে সেদিন এসেছিল অপরাজিত ১০৩ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দেওয়া এই ব্যাটার বাংলাদেশের ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। এই বিশেষ দিনটি তবু একবার হলেও বাংলাদেশি সমর্থকদের জীবনে এসেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কোনো ক্রিকেটার এই স্বস্তির দিন উপহার দিতে পারেননি তাদের সমর্থকদের।

ক্রিকেট জগতে একটি দলের পক্ষে যা যা অর্জন করা সম্ভব সবই নিজেদের নামের পাশে লিখে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শুধু একটি ক্ষেত্রে এখনও পা রাখতে পারেনি ব্যাগি গ্রিনরা। সেটি হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি। ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে এখন চলছে নবম আসর। যেখানে এরই মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটের এই আসরে ৪৩ ম্যাচ খেলেও তিন অংক ছুঁতে পারেননি কোনো অস্ট্রেলিয়ান।

২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডেভিড ওয়ার্নারের অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসটাই এখন পর্যন্ত অজি কোনো ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ। যদিও লক্ষ্য কম থাকায় আগেই জিতে যান ওয়ার্নররা। ২২ বল বাকি থাকতেই ১৫৮ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।

নবম আসরে টেস্টখেলুড়ে দলের সংখ্যাটা নয়টি। বাকি আট দল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা সেঞ্চুরি পেয়েছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০ জন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেছেন। মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা ১১টি। ক্রিস গেইলের নামের পাশে আছে দুটি সেঞ্চুরি। ক্যারিবীয় এই কিংবদন্তি ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৭ রান করেন। ২০১৬ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত থাকেন ১০০ রানে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রথম সেঞ্চুরি ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে অ্যালেক্স হেলসের করা। পরেরটি ২০২১ সালে শারজায় জস বাটলারের। নিউজিল্যান্ডের প্রথম সেঞ্চুরি ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ২০১২ সালে পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৫৮ বলে ১২৩ রানের জাদুকরি ইনিংস খেলেন।

কিউইদের পরের সেঞ্চুরি এসেছে গ্লেন ফিলিপসের হাত ধরে। তাঁর ১০৪ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বশেষ সেঞ্চুরিরও নজির। বাকি চার সেঞ্চুরিয়ান হলেন ভারতের সুরেশ রায়না(১০১), পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ (১১১ অপরাজিত), শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে (১০০) ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো (১০৯ অপরাজিত)।

সেঞ্চুরির এই তালিকায় এক নেতিবাচক তালিকায় যুক্ত আছে বাংলাদেশ। ১১ সেঞ্চুরির ৩টিই হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এ ছাড়া প্রতিপক্ষের তিনটি সেঞ্চুরি দেখেছে শ্রীলঙ্কাও। দুটি দক্ষিণ আফ্রিকা, একটি করে জিম্বাবুয়ে, ওমান ও ইংল্যান্ডের।