আফগানিস্তানের খনিগুলোর অংশীদার দেশের সব নাগরিক!

আফগানিস্তানের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সমালোচনা করে দেশটির খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা তেল খাতে মাফিয়াদের প্রভাব কমিয়ে এনেছে। লবণের খনিগুলোতেও তাদের প্রভাব কমিয়ে আনতে তারা কাজ করছে। খবর তোলো নিউজ।

আফগানিস্তানের খনি

আফগানিস্তানের ফারিয়াব প্রদেশের তিনটি লবণ খনি ব্লকের দরপত্র খোলার সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শাহাবুদ্দিন দেলাওয়ার লবণ ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে তাদের সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তার মন্ত্রণালয় দেশের খনির চুক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানের এই খনিগুলো দেশের জাতীয় স্বার্থ। এতে অংশীদার দেশের পুরুষ, মহিলা, শিশু, শিয়া, সুন্নি, হিন্দু- সবাই। জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে তারা আগে তেল খাতের মাফিয়াদের মোকাবেলা করেছে এবং লবণ খাতের মাফিয়াদের অ্যাক্সেস রোধ করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

আফগানিস্তানের রাজস্বের বড় একটি অংশ আসে খনিগুলো থেকে

শাহাবুদ্দিন দেলাওয়ার আরও উল্লেখ করেন, দেশের বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এসব খনির আয় থেকে অর্থায়ন করা হয়। গত অর্থবছরে মন্ত্রণালয়টি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ১৭ বিলিয়ন আফগানির বেশি অবদান রেখেছে।

ভারপ্রাপ্ত এই মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর আমরা এই খনিগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আদায় করি। কিছুটা উঠা-নামা থাকলেও দেশের বড় একটি রাজস্ব আয় হয় এই খনি থেকে। আর আমাদের রাজস্ব আদায়ের ব্যাপারটি একেবারে স্বচ্ছ। এখানে দুর্নীতির স্থান নেই।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রশাসনে সামরিক-বেসামরিক কর্মীর সংখ্যা আগের সময়ের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তাদের সমস্ত চাহিদা দেশের খনির রাজস্বসহ অন্যান্য দেশীয় আয়ের মাধ্যমে পূরণ করা হয়। আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ব্যয় আগের শাসনামলকে ছাড়িয়ে গেছে। আমরা আমাদের বাজেট থেকেই এই সংস্থাগুলোকে অর্থায়ন করি, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনাবাহিনীর জন্য ভিন্ন তহবিল থেকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার খরচ করে।

আফগানিস্তানের খনি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় আমু দরিয়া তেল অঞ্চলের কাশকারি ব্লকের নয়টি ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পের জন্যও দরপত্র আহ্বান করেছে।