নুসেইরাত শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১০

মধ্য গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১০ জনে দাঁড়িয়েছে। ৮ জুন, শনিবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

ছবি - সংগৃহীত

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নুসেইরাত ক্যাম্পে ইসরায়েলি নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের কারণে প্রায় ২১০ জন শহীদ এবং ৪০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। আহতদের আল আকসা হাসপাতালে আনা হয়েছে।

আল আকসা হাসপাতালের মুখপাত্র খলিল আল দাকরান, হাসপাতালটিকে রক্ষা করতে, এটির কার্যক্রম অব্যাহত রাখা নিশ্চিত করার জন্য এটিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং জেনারেটর সরবরাহ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সংস্থাগুলোর কাছে আবেদন জানান।

গাজার মিডিয়া অফিস সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলি বোমা হামলা অব্যাহত থাকার কারণে নিহত ও আহতদের সংখ্যা নির্ধারণ করতে সমস্যা হচ্ছে। 

মধ্য গাজা উপত্যকায় বর্তমানে সহিংস এবং নজিরবিহীন অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে বলেছেন, ইসরায়েলি কামান এবং যুদ্ধবিমানগুলো দেইর আল-বালাহ, আল-বুরেইজ এবং আল-মাগাজি ক্যাম্পের পাশাপাশি নুসেইরাত শিবিরের বিভিন্ন স্থানে কয়েক ঘন্টা ধরে হিংসাত্মক এবং তীব্র অভিযান চালাচ্ছে।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা যোগ করেছেন, এই অঞ্চলগুলো লক্ষ্য করে নজিরবিহীন বিমান এবং কামানের বোমাবর্ষণের কারণে মধ্য গাজা উপত্যকার সমস্ত অংশ থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছিল। 

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, দখলদার বাহিনীর বিমান গাজা সিটির জায়তুন, তেল আল-হাওয়া এলাকা এবং মধ্য গাজা উপত্যকার নুসেইরাত, আল-মাগাজি ও আল-বুরেইজ ক্যাম্পে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।  

এদিকে শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে নুসেইরাত ক্যাম্প ও মধ্য গাজা উপত্যকার অন্যান্য এলাকায় বড় আকারের এবং নজিরবিহীন আক্রমণ শুরু করেছে। 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ৮ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে ৩৬ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ৮৩ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু ছিল।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি