ভারতের নির্বাচন: ৭ লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী অভিষেক, অমিত সাড়ে ৭ লাখে

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি সাত লাখ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। সাত দফার ভোট গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (৪ জুন) লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। খবর এবিপি, হিন্দুস্তানটাইমস।

মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে অভিষেক ব্যানার্জি

অভিষেক ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ ৪৮ হাজার ২৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির অভিজিৎ দাস। তিনি পেয়েছেন তিন লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ ভোট। ফলে সাত লাখ ১০ হাজার ৯৩০ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন অভিষেক।

মমতার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গ এবার দখলে নেওয়ার ঘোষণা ছিল বিজেপির। নির্বাচনী প্রচারণা সেভাবেই চলছিল। ফলে তৃণমূল শিবিরে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল ক্ষমতা হারানোর। তবে সকাল থেকেই দেখা যায়, তৃণমূল আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের মধ্যে ছয়টির চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। এগুলোর সবকটিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়া এগিয়ে ছিল আরও ২৩টি আসনে। বাকি আসনগুলোর মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ছিল ১২টি আসনে। একটিতে এগিয়ে ন্যাশনাল কংগ্রেস।

অমিত শাহ

অন্যদিকে বড় জয় পেয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। গুজরাট রাজ্যের গান্ধীনগর আসনে তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ ১০ হাজার ৯৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সোনাল রামানভাই প্যাটেলের পক্ষে গেছে দুই লাখ ৬৬ হাজার ২৫৬ ভোট। ফলে সাত লাখ ৪৪ হাজার ৭১৬ ভোটের ব্যবধানে জয় পান অমিত শাহ।

উল্লেখ্য, সাত দফা ভোটগ্রহণ শেষে ৪ জুন সকাল থেকে শুরু হয় ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। ভারতে লোকসভার আসন ৫৪৩টি। এর মধ্যে সরকার গঠন করতে কোনো দল বা জোটের প্রয়োজন হয় ২৭২টি আসন। মোদির দল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এরই মধ্যে ২৯০টিরও বেশি আসনে জয় পেয়েছে বা এগিয়ে আছে। অন্যদিকে বিরোধী দলীয় জোট ইন্ডিয়া ২৩০টির বেশি আসনে জয়লাভ করেছে বা এগিয়ে আছে।

এর ফলে বুথফেরত জরিপ অনেকটাই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কারণ প্রায় সবগুলো জরিপেই বিজেপিকে ৩২০ থেকে ৩৯০টি পর্যন্ত আসন দিয়েছিল। সেদিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে বিজেপি। বিশেষ করে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আর সরকার গঠন করা সম্ভব হবে না। ফলে জোট সরকারের অনেক দাবিই মেনে চলতে হবে আগামী মেয়াদে। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট তুলনামূলক অনেক কম আসন পেলেও সবার ধারণার চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে লোকসভায়। ফলে পিছিয়ে থাকলেও ইন্ডিয়া শিবিরে আনন্দের কমতি নেই।