এরদোয়ান: একমাত্র তুরস্কই গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্কই একমাত্র দেশ, যারা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চালানো গণহত্যার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং ইরায়েলের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে। শনিবার (১ জুন) রাজধানী আঙ্কারার কিজিলচিহাম জেলায় একে পার্টির পরামর্শ ও মূল্যায়ন সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর আনাদোলু।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোয়ান

এরদোয়ান বলেন, আমরাই একমাত্র দেশ, যারা গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং এ গণহত্যা বন্ধের দাবিতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, তুরস্ক ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। প্রথমে ৫৪টি আইটেম লেনদেন বন্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাদের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যই বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রাফায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক মাতৃভূমিকে রক্ষা করা ফিলিস্তিনি বীর জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে আওয়াজ দিতেও তুরস্ক কোনো দ্বিধা করে না। তিনি রাফায় ইসরায়েলি গণহত্যার নিন্দা করার জন্য তুরস্কের পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত মূল্যবান।

ইসরায়েলের অবরোধে ফিলিস্তিনের অবস্থা খুবই নাজুক উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক এ পর্যন্ত গাজায় ৫৫ হাজার টন মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে। সর্বশেষ তারা রাফাহকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। রাফাতে হামলা চালানোর বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা হুুঁশিয়ারি জানালেও ইসরায়েল সেগুলোকে উপেক্ষা করেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পেতে এ পর্যন্ত ১০ লাখ ফিলিস্তিনি রাফা ছেড়েছে।

প্রায় আট মাস ধরে চালানো হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৬ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাাধিক ফিলিস্তিনি। এসব হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।