টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: হেইডেন–জয়াবর্ধনেদের সঙ্গী তামিম

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দুদিন বাদেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে উম্মাদনা। ছোট সংস্করণের নবম আসর কতটা রং ছড়াবে, তা জানা যাবে ফাইনাল শেষে। তার আগে উঁকি দিচ্ছে সোনালী অতীত। যেখানে আছেন কিংবদন্তি ম্যাথু হেইডেন, মাহেলা জয়াবর্ধনেদের সঙ্গে তামিম ইকবাল, বিরাট কোহলিরা।

হেইডেন, জয়াবর্ধনে, তামিম ও কোহলি

২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরপর একে একে সাতবার গড়িয়েছে আসরটি। এবার নবম আসরকে ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আগের আট আসরেই দেখা মিলেছে রানের ফোয়ারা। ছয়বারই আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে ব্যাটারদের হাতে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি। এবারও ব্যাটারদের তাণ্ডব দেখতে মুখিয়ে আছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তার আগে জেনে নেওয়া যাক বিগত আট আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটারদের নাম।

ম্যাথু হেইডেন (২০০৭): দক্ষিণ আফ্রিকায় বসেছিল ছোট সংস্করণের প্রথম আসর। ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেবার ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন। ছয় ইনিংসে ৮৮.৩৩ গড়ে করেছিলেন ২৬৫ রান।

তিলকরত্নে দিলশান (২০০৯): দ্বিতীয় আসরটি বসেছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে। ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। দলীয় সাফল্য না পেলেও ব্যক্তিগত সাফল্য পেয়েছিলেন দিলশান। পুরো আসরে সাত ইনিংসে ইনিংসে ৫২.৮৩ গড়ে করেছিলেন ৩১৭ রান।

মাহেলা জয়াবর্ধনে (২০১০): প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে ব্যাট হাতে পুরো আসরে দাপট দেখিয়েছেন জয়াবর্ধনে। লঙ্কান এই ব্যাটার ছয় ইনিংসে ৬০.৪০ গড়ে করেছিলেন ৩০২ রান।

শেন ওয়াটসন (২০১২): ছোট সংস্করণের চতুর্থ আসরটি বসেছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে শ্রীলঙ্কা। আসরে সুবিধা করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে ব্যাট হাতে দুর্বার ছিলেন ওয়াটসন। আসরে ছয় ইনিংসে ৪৯.৫০ গড়ে করেছিলেন ২৪৯ রান তিনি।

বিরাট কোহলি (২০১৪): প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ। আসরে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ব্যাট হাতে সবাইকে ছাড়িয়ে যান কোহলি। ছয় ইনিংসে একশর বেশি গড়ে করেন ৩১৯ রান। যা এখন পর্যন্ত এক আসরের সর্বোচ্চ রান।

তামিম ইকবাল (২০১৬): ষষ্ঠ আসরের আয়োজক দেশ ছিল ভারত। এই আসরে বাজিমাত করেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ দল হিসেবে হতাশ করলেও ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তামিম। একটি সেঞ্চুরিসহ ২৯৫ রান করেছিলেন তিনি। আসরে শেষ ওভারে বেন স্টোকসকে টানা চার বল চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট।

বাবর আজম (২০২১): যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই আসরে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলে অস্ট্রেলিয়া। তবে ব্যাট হাতে নজর কাড়েন বাবর। ছয় ইনিংসে চারটি অর্ধ-শতকে মোট ৩০৩ রান করেন তিনি।

বিরাট কোহলি (২০২২): শেষ আসরটি বসেছিল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। এই আসরে দুর্দান্ত পারফর্ম দেখিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল ইংল্যান্ড। ভারত সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও ব্যাট হাতে ৯৮ গড়ে ২৯৬ রান করেন কোহলি। এই সংস্করণের আসরে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে আলাদা দুটি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন কোহলি।