হংকংয়ে ১৪ গণতন্ত্রপন্থীকে দোষী সাব্যস্ত

চীনের আরোপিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনে হংকংয়ে ১৪ গণতন্ত্রপন্থীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সেখানকার হাইকোর্ট। এ নিয়ে একক মামলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪৫ জন গণতন্ত্রপন্থী ব্যক্তিত্বকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো। অভিযোগ থেকে দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এই আইনের শাস্তি সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

হংকংয়ে আদালতের বাইরে নিজেদের বিজয় চিহ্ন দেখান এক গণতন্ত্রপন্থী নারী

চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে বেইজিং-নিযুক্ত প্রশাসনকে উপেক্ষা করে ২০২০ সালে একটি নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন গণতন্ত্রপন্থীরা। ওই ঘটনায় ‘জাতীয় নিরাপত্তা আইন’ ভঙ্গের অভিযোগে ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করে হংকং প্রশাসন।

চীন নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের অভিযোগ, তারা হংকংয়ের আইনসভাকে উৎখাতের পরিকল্পনার মাধ্যমে নিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করেছেন। গণতন্ত্র প্রচারকারীরা নির্বাচিত হলে তারা জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতেন এবং সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হতো।

এ নিয়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিচারকাজ শুরু হয় এবং ম্যারাথন ১০০ দিনের বেশি শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার রায় এসেছে। আসামী ও তাদের অনেক সমর্থকের উপস্থিতিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রায় ঘোষণা করা হয়।

হংকং হাইকোর্টের তিনজন বিচারক আজ রায়ে ১৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তাদের মধ্যে সাবেক আইন প্রণেতা, আইনজীবী, ইউনিয়ন নেতা-কর্মী এবং ছাত্র নেতারা রয়েছেন। তাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

আদালত দুই আসামীকে খালাস দিয়েছে। তাদের একজন সমাজকর্মী এবং একজন ব্যারিস্টার। এর আগে এই মামলাতেই ৩১ জন নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেন। তাই আজকের রায়ের মাধ্যমে একক মামলায় ৪৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো।

এদিকে এ রায়ের নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। তারা বলেছে, বিচারকরা এই রায়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসন উভয়ের প্রতিই সম্পূর্ণ অবমাননা দেখিয়েছেন।

চীন সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমানোর উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে হংকংয়ে ‘জাতীয় নিরাপত্তা আইন’ (এনএসএল) জারি করে। বেইজিংয়ের দাবি, হংকংয়ের স্থিতিশীলতার জন্য এই আইনের বাস্তবায়ন জরুরি।