আবার প্রেসিডেন্ট হলে ফিলিস্তিনপন্থীদের উচিত শিক্ষা দেবেন ট্রাম্প!

আবার ক্ষমতায় যেতে পারলে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের উচিত শিক্ষা দিবেন বলে জানালেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ১৪ মে নিউ ইয়র্কে ধনী দাতাদের এক গোলটেবিল বৈঠকে বিক্ষোভকে চলমান বিপ্লব বলে উল্লেখ করে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা সোমবার (২৭ মে) ট্রাম্পের এ মন্তব্য প্রকাশ্যে আনেন। খবর দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

‘আমার ৯৮ শতাংশ বন্ধুই ইহুদি’ উল্লেখ করে দাতাদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প আরও বলেন, আপনারা জানেন, যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে আমি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করব। এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের উচিত শিক্ষা দিতে চান তিনি।

ওই বৈঠকে দাতাদের একজন মন্তব্য করেন, এখন যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেখানে যারা অংশ নিচ্ছে, আগামীতে তাদের অনেকেই হয়ত যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন। সেই সময় ট্রাম্প তাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেন, আপনারা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন এবং আমি মনে করি আপনাদের সেটাই করা উচিত, তাহলে আমি এই আন্দোলনকে ২৫ থেকে ৩০ বছর পিছিয়ে দেবো। আমাকে আপনারা আরেকবার প্রেসিডেন্ট বানান, আমি সব কিছু ঠিক করে দেবো।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে

ওই বৈঠকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ায় নিউ ইয়র্ক পুলিশের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। অন্য শহরগুলোরও এটি অনুসরণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েল ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সমর্থন করে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছেন ট্রাম্প। ফলে ট্রাম্পের সঙ্গে লবিং করেন প্রধান রিপাবলিকান দাতারা।

এদিকে দেশটি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বছরের শেষভাগে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সামনে রেখে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প ও বাইডেন নোংরা রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো গণহত্যায় সমর্থন করা ওয়াশিংটনের নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিক্ষোভ করছেন। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনপন্থী এই বিক্ষোভ এখন যুক্তরাষ্ট্রের গণ্ডি ছাড়িয়ে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ছে।