আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলো আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন

আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন ২৮ মে, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিম ইউরোপীয় এই ৩টি দেশ।

ফিলিস্তিনের পতাকা

মঙ্গলবার আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে বলেছেন, ‘আজকে সরকার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি একটি প্রক্রিয়ার শেষ নয়; এটি শুরু। এটি আমাদের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন সহযোগিতার যে কর্মসূচি তা তুলে ধরে।' 

স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত যার একক লক্ষ্য রয়েছে। এই লক্ষ্য হলো ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি অর্জনে অবদান রাখা।'  

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস তার সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলেছেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছি কারণ এটি করার সময় এসেছে। আমরা আর অপেক্ষা করতে পারি না।' 

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইড বলেছেন, ‘আজ, নরওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি নরওয়ে এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্পর্কের একটি মাইলফলক।' 

এদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ স্পেনের উপ প্রধানমন্ত্রী ইয়োলান্ডা দিয়াজকে হামাস এবং ইরানের নেতাদের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি মঙ্গলবার এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে বলেছেন, ‘ইয়োলান্ডা দিয়াজ ইসরায়েলকে নির্মূল করার আহ্বান জানাচ্ছেন, যদিও তিনি দুই রাষ্ট্র সমাধানে বিশ্বাস করেন বলে জানিয়েছেন।' 

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি