২ হাজার কোটি টাকা লাভ: তবু কমছে না তেলের দাম

শুধুমাত্র পেট্রল, অকটেন, কেরোসিন ও ডিজেল বিক্রি করেই বছরে এক হাজার ৮৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা লাভ করবে সরকার। বর্তমান দাম থেকে নির্দিষ্ট হারে আরও কমানো হলেও এই পরিমাণ টাকা লাভ হবে সরকারের। এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার পর দেশে এক দফায় জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছিলো।

এই বিপুল পরিমাণ অর্থ লাভ হলেও নানা অজুহাতে দাম কমাচ্ছে না সরকার। অথচ জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলে দেশের সর্বস্তরের মানুষের ওপর এর সরাসরি প্রভাব পড়া ছাড়াও অর্থনীতিতেও একটি পরিবর্তন আসতো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি সরকার।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও জানিয়েছে, সহসাই জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের।

তবে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে। ওই সারসংক্ষেপ অনুযায়ী, পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ৪ টাকা ৩০ পয়সা, অকটেন ৮৯ টাকা থেকে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা এবং কেরোসিন ও ডিজেল ৬৫ টাকা থেকে ৫ টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

হিসাব করে দেখা গেছে, এই চার জ্বালানি তেল হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রি করা হলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) বছরে মোট এক হাজার ৮৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা লাভ করবে। এর মধ্যে পেট্রলে লাভ হবে ১১৬ কোটি টাকা, অকটেনে লাভ হবে ১২৫ কোটি টাকা, কেরোসিনে ৩৩৫ কোটি টাকা এবং ডিজেলে লাভ হবে এক হাজার ২৭৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমানো হবে কি না এ ব্যাপারে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণ করে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।