শেখ মেহেদি: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে উপভোগের চেয়ে চ্যালেঞ্জ বেশি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ইতোমধ্যেই সেখানে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। মাঠের লড়াইয়ের আগে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়া স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান জানালেন নিজের পরিকল্পনা ও স্বপ্নের কথা। সেই সঙ্গে এও জানালেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চ্যালেঞ্জ নিতে হয় বেশি, উপভোগ করা যায় না।

শেখ মেহেদি হাসান

বিশ্বকাপের দলে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে নিজেদের ডিজিটাল প্লাটফর্মে ধারাবাহিকভাবে ‘দ্য রেড গ্রিন স্টোরি’ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজকের আয়োজন ছিল শেখ মেহেদিকে নিয়ে। বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়ে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্বকাপের দলে থাকাটা একজন খেলোয়াড়ের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এটি খেলোয়াড়দের দক্ষতা এবং প্রতিভার স্বীকৃতি। মেহেদি বলেন, ‘বিশ্বকাপের দলে থাকাটা অনেক গৌরবের। ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’ 

মাঝে অনেকদিন দলের বাইরে ছিলেন মেহেদি। তবে সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ভালো করে আবারও নির্বাচকদের নজরে আসেন তিনি। দলে ফিরতে পেরে খুশি মেহেদি, দল থেকে বাদ পড়লে যেকোনো খেলোয়াড়ের খারাপ লাগে। আমার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে। ফেরাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আবারও জাতীয় দলে ফিরতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।’

বেশিরভাগ সময়ই নতুন বলে বোলিং করে থাকেন মেহেদি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটাকে চ্যালেঞ্জ মানছেন মেহেদি। এ বিষয়ে মেহেদি বলেন, ‘উপভোগ করার চেয়ে, চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি, বিশেষ করে পাওয়ার প্লে তে। কেননা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট রানের খেলা। এখানে আমার লক্ষ্য থাকে বল হাতে যত কম রানে আটকে রাখা যায় ব্যাটারদের। এখানে উপভোগের চেয়ে চ্যালেঞ্জ বেশি। পাওয়ার প্লে তে কঠিন কিছু পরিস্থিতি থাকে। একদমই উপভোগ করা যায় না। তবে যদি উপভোগ করতে পারি তাহলে দলেরই লাভ।’

ছোটবেলা থেকেই সাকিব আল হাসানকে আইডল মানেন মেহেদি। এছাড়া ফিনিশিংয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ফলো করেন বলেও জানালেন, ‘আমি ছোটবেলায় যখন ক্রিকেট বুঝতে শিখি, তখন সাকিব ভাইয়ের খেলা ভালো লাগত। সাকিব ভাই আমার আইডল। এছাড়া আমি যখন ৭-৮ নম্বরে ব্যাটিং করতাম, তখন রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাটিং ফলো করতাম, একজন ফিনিশার হিসেবে।’

সবশেষ বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন মেহেদি। একই দলে ছিলেন সাকিবও। তবে জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথমবার সাকিবের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন তিনি। এ বিষয়ে মেহেদি বলেন, ‘এনসিএলে আমি আর সাকিব ভাই একই টিমে খেলতাম। আমি আর সাকিব ভাই একসঙ্গে ব্যাটিং করছিলাম। এরপর সাকিব ভাই যখন বোলিং করছিল, তখন আমি শুধু দেখছিলাম। আমার জন্য দারুণ একটা অভিজ্ঞতা ছিল। একটা এক্সসাইটমেন্ট কাজ করছিল যে, আমি সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে খেলছি।’

সবশেষে বিশ্বকাপকে ঘিরে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে মেহেদি বলেছেন, ‘আমার যদি এই বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলার সুযোগ আসে, তাহলে আমরা ন্যাচারাল খেলাটা খেলার চেষ্টা করব। তবে হ্যাঁ, আমি যেভাবে পারফর্ম করি বিশ্বকাপে এমন পারফর্ম চাই না। এর থেকে আরও ভালো পারফর্ম করতে চাই। এছাড়া আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য, প্রথম রাউন্ড ভালোভাবে শেষ করে দ্বিতীয় রাউন্ড যাওয়া।’