ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনায় চীনকে চান জেলেনস্কি

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় চীনকে চাচ্ছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি মনে করেন, চীনই একমাত্র দেশ, যার প্রভাব রাশিয়ার ওপর রয়েছে। তাই বেইজিংকে আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান জেলেনস্কি। খবর এএফপি ও সিএনএনের।

সুইজারল্যান্ডে শান্তি আলোচনায় চীনকে চাচ্ছেন জেলেনস্কি

ইউক্রেনে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ, দুই বছরের বেশি সময় ধরে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। সম্প্রতি সীমান্তবর্তী শহর খারকিভে হামলা জোরদার করেছে মস্কো বাহিনী। এতে ইউক্রেনের আশঙ্কা, সীমান্ত শহরটি দখলের পাঁয়তারা করছে রাশিয়া।

ইউক্রেন যখন মস্কোর নতুন আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে, এমন সময়ে বেইজিংকে আগামী মাসে শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানালেন জেলেনস্কি। তিনি জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাকে একটি ফোন কলে আশ্বস্ত করেছেন যে বেইজিং ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করে।

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনে শান্তি প্রক্রিয়ার পথ প্রশস্ত করার লক্ষ্যে আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক আলোচনায় চীনকে দেখতে চাই।

জেলেনস্কি বলছেন, সুইজার‌ল্যান্ডে শান্তি আলোচনায় চীনের মতো বৈশ্বিক খেলোয়াড়দের থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তার রাশিয়ার ওপর প্রভাব রয়েছে। এবং আমাদের পক্ষে যত বেশি দেশ থাকবে... তত বেশি রাশিয়াকে সরতে হবে।

ঠিক কখন চীনের প্রেসিডেন্ট তাকে ফোন করেছেন, সেটি প্রকাশ না করলেও জেলেনস্কি শুক্রবার এমন সময়ে এ দাবি করেছেন, যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুইদিনের বেইজিং সফর শেষ করেছেন।

বেইজিং সফরে গিয়ে শি জিনিপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর পুতিন নিজেও সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। চীনের আকাঙ্খার প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে রাশিয়ার।

বেইজিং কখনই ইউক্রেনে রুশ হামলার নিন্দা জানায়নি, পরিবর্তে ওই যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার দাবি চীনের। একই সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে ১২ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে শি জিনপিং। আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডে শান্তি আলোচনায় বসার আগে, ইউক্রেন-রাশিয়া উভয় পক্ষের অবস্থান বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধে সুইজারল্যান্ডের মধ্যস্থতায় আগামী মাসে শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। সুইস প্রেসিডেন্ট ভায়োলা আমহার্ড জানিয়েছেন, শীর্ষ সম্মেলনে এ পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধি থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। যদিও চীন এখনো নিজেদের থাকার কথা পরিষ্কার করেনি। তবে সুইজারল্যান্ডে চীনের রাষ্ট্রদূত ওয়াং শিহটিং বলেছেন, বেইজিং অংশগ্রহণ করার কথা বিবেচনা করছে।