মিডল-অর্ডার সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের মিডল অর্ডারে স্রেফ চার সদস্য না নিয়ে সংখ্যাটি আরও একজন বাড়ানো যেত বলে মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। তারা মনে করছেন বিশ্বকাপ চলকালীন এই চারজনের কেউ ইনজুরি আক্রান্ত হলে তাদের বদলি খোঁজা টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য কঠিন হয়ে যাবে, কেননা বৈশ্বিক আসর চলাকালীন স্কোয়াডের পরিবর্তন আনতে চাইলে আইসিসির টেকনিক্যাল কমিটির অনুমতি নিতে হয়, যা একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এ অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পথে টিম বাংলাদেশ

তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ এবং জাকের আলীকে নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার গঠন করা হয়েছে। কিন্তু ওপেনিং স্লট, পেস বোলিং কিংবা স্পিনিং বিভাগের মতো এখানে বাড়তি একজনও নেওয়া হয়নি। ওপেনিংয়ে তানজিদ তামিম ও লিটন দাসের সঙ্গে তৃতীয় ওপেনার হিসেবে নেওয়া হয়েছে সৌম্য সরকারকে। পেস বোলিং বিভাগে মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ এবং তানজিম হাসান সাকিব থাকা সত্বেও রিজার্ভ হিসেবে যাচ্ছেন হাসান মাহমুদ। আর স্পিনিং বিভাগে সাকিব আল হাসান, রিশাদ হোসেন ও শেখ মেহেদির উপস্থিতি সত্বেও ডাকা হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামকে।

দেশের স্বনামধন্য কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমের মতে, রিজার্ভে হাসান মাহমুদ ও আফিফের পাশাপাশি আরেকজন মিডল অর্ডার ব্যাটার রাখা যেত। টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলছিলেন, ‘আমি যেটা চিন্তা করছি, বিশ্বকাপে মিডল অর্ডারদের কেউ ইনজুরিতে পড়লে তখন বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট কী করবে? ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে তারা আফিফ হোসেন ও হাসান মাহমুদকে নিয়ে গেছে, এটা খুবই ভালো খবর। কিন্তু যেহেতু আফিফ টাচে নেই সেহেতু এই পজিশনের জন্য আরেকজন খেলোয়াড় নিয়ে গেলে সেটা দলের জন্যই ভালো হতো। কেন তারা সেটা করেনি, এটা আমার প্রশ্ন থাকল।’

এর পাশাপাশি তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেছেন টপ অর্ডারের ধারাবিহক ব্যর্থতা নিয়েও, ‘ওপেনিংয়ে তানজিদ তামিম হয়ত জিম্বাবুয়ে সিরিজে ভালো খেলেছে, কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে, এটা ওর প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কাজেই অভিজ্ঞতার ঘাটতি তার থাকবেই। তাছাড়া লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ততটা টাচে নেই, যা তাদের বিশ্বকাপে ভালো করার অনুপ্রেরণা যোগাবে। কাজেই টপ অর্ডারের অস্বস্তি নিয়েই বাংলাদেশ বিশ্বকাপে যাচ্ছে।’

তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন বিবেচনায় নিয়ে স্পিনিং বিভাগে চারজনের অন্তর্ভুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিকেএসপির (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) এই ক্রিকেট উপদেষ্টা, ‘ বিশ্বকাপের কন্ডিশন বিবেনায় চারজন স্পিনার ঠিক আছে।’

ফাহিমের মতো জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনও মিডল অর্ডার নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন, ‘হ্যাঁ, ওই চারজনের কারো ইনজুরি হলে বদলি খুঁজে পাওয়াটা কঠিন। যেহেতু টেক কমিটির অনুমতির বিষয়টি রয়েই গেছে। আফিফ হোসেন আছে, ঠিক আছে। কিন্তু আমি হলে ট্রাভেল রিজার্ভ হিসেবে মোসাদ্দেককে (সৈকত) নিতাম।’

১ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে পর্দা উঠছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ৮ জুন, ডালাসে, শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে।