এমন আশা না রাখাই ভালো দিল্লির

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি মৌসুমে সুতোয় ঝুলে আছে দিল্লি ক্যাপিটালসের ভাগ্য। প্রায় অসম্ভব এক কঠিন সমীকরণের সামনে তারা। নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক সেরে অন্তত এই সমীকরণে পৌঁছেছে দিল্লি। দলটির প্লে-অফের সম্ভাবনা ঘাসের মধ্যে সুচ খোঁজার মতোই! অবশ্য এমন আশা না রাখাই ভালো।

স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ছবি: বিসিসিআই

মঙ্গলবার রাতে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে ১৯ রানে হারিয়েছে ঋষভ প্যান্টের দল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চার উইকেটে ২০৮ রান করে দিল্লি। জবাবে নয় উইকেটে ১৮৯ রান তুলতে সক্ষম হয় লখনৌ। এই জয়ের পরও বিদায়ের চূড়ান্ত ঝুঁকিতে আছে দিল্লি। শেষ চারে যেতে হলে বেশ কয়েকটি সমীকরণ তাদের পক্ষে আসতে হবে।

পয়েন্ট টেবিলে দিল্লির অবস্থান এখন পাঁচ নম্বরে। ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট তাদের। দিল্লির সমান পয়েন্ট চেন্নাই সুপার কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদেরও। প্রথম দলটির বাকি আছে এক ম্যাচ। দ্বিতীয় দলটির দুই ম্যাচ। চেন্নাই কিংবা হায়দরাবাদ আর এক ম্যাচ জিতলেই বিদায় নেবে দিল্লি। তাদের নিচে আছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও লখনৌ সুপার জায়ান্টস।

একটি করে ম্যাচ বাকি আছে তাদেরও। এই দুটি দল শেষ ম্যাচে জিতলেও বিদায় নিতে হবে দিল্লিকে। কারণ, দুটি দলই রান রেটে এগিয়ে আছে। তবে ব্যাঙ্গালুরু-লখনৌকে শেষ ম্যাচে জিতলেই কেবল চলবে না, সেটি হতে হবে বড় ব্যবধানে। চেন্নাই ও হায়দরাবাদ জিতলে অন্য কারোর কোনো সমীকরণই থাকবে না।

ঘরের মাঠ অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লি দুশো ছাড়িয়েছে সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। অভিষেক পোরেল ৩৩ বলে ৫৮, ত্রিস্টান স্টাবস ২৫ বলে ৫৭*, শাই হোপ ২৭ বলে ৩৮, ঋষভ ২৩ বলে ৩৩ ও অক্ষর প্যাটেল ১০ বলে ১৪* রান করেন। লখনৌর পক্ষে ৫১ রানে দুই উইকেট নেন নাভিন উল হক। অন্য উইকেট দুটি রবি বিষ্ণু ও আরশাদ খানের।

রান তাড়ায় শুরুতেই ধসে পড়ে লখনৌর টপ অর্ডার। ২৪ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। দলীয় ফিফটির আগে আরও এক উইকেটের পতন। পরে লখনৌর হারের ব্যবধান কমাতে লড়াই করেন নিকোলাস পুরান ও আরশাদ। ২৭ বলে ৬১ রান করেন পুরান। ৩৩ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন আরশাদ।

এ ছাড়া কুইন্টন ডি কক ১২, ক্রুনাল পান্ডিয়া ১৮ ও যুদভির সিং ১৪ রানে আউট হন। ৩৪ রানে তিন উইকেট নিয়ে লখনৌর টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন দিল্লির ভারতীয় ইশান্ত শর্মা। তিনিই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। এ ছাড়া পাঁচ বোলার নেন একটি করে উইকেট। এই হারের পরও টুর্নামেন্টে টিকে আছে লখনৌ। সেটি অবশ্য গাণিতিক হিসেবে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০৮/৪ (২০ ওভার)।
লখনৌ সুপার জায়ান্টস: ১৮৯/৯ (২০ ওভার)।
ফল: দিল্লি ক্যাপিটালস ১৯ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: ইশান্ত শর্মা (দিল্লি ক্যাপিটালস)।