বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সব ঠিক হয়ে যাবে!

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে উদ্বোধনী জুটির পারফরম্যান্স নিদারুণ হতাশায় মোড়ানো অথচ সৌম্য সরকার বলছেন, ঠিক হয়ে যাবে। মিডল অর্ডারে একমত্র তাওহীদ হৃদয় ছাড়া আর কেউই ধারাবহিক পারফর্ম করতে পারেননি সেটাও নাকি সামনে ঠিক হয়ে যাবে। এদিকে বোলাররা শুরুটা উড়ন্ত করলেও নিচের দিকের উইকেট পেতে ধুঁকছেন, সৌম্যর ভাষ্যমতে সেটাও নাকি ঠিক হয়ে যাবে!

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টির টানা চতুর্থ জয়ের পরে মাঠ ছাড়ছে বাংলাদেশ

সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান পাঁচ ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টিকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেই বিবেচনা করছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। অথচ সেই দলটি যারা কিনা নামিবিয়া ও উগান্ডার হেরে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে পারেনি, তাদের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম তিন ম্যাচে স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটির সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ৫, ৪১ ও ২২। ফলশ্রুতিতে চতুর্থ ম্যাচে লিটন দাসকে বাদ দিয়ে ফেরানো হলো সৌম্য সরকারকে। যদিও তিনি প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে খুব একটা মন্দ করেননি। ৩৪ বলে তার ৪১ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের টানা চতুর্থ জয়ের পথ সুগম করেছে।

সেই তার কাছেই ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হলো, বিশ্বকাপের এক মাসও বাকি নেই। তার আগে উদ্বোধনী জুটির এমন হাল কতটা ভাবনার কারণ। তিনি কী বললেন শুনুন, ‘দেখেন, এখনও আমাদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ বাকি আছে, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আমরা বিশ্বকাপের আগে তিনটি ম্যাচ খেলব। আমাদের টিম ম্যানজমেন্ট আছে ওনারাই দেখছে এটা। তামিম ভালো খেলছে। ওর সঙ্গে আজ আমি খেললাম। তো প্রতিপক্ষ কারা ওভাবে চিন্তা করেই বিশ্বকাপে আমাদের উদ্বোধনী জুটি ঠিক করা হবে।’

প্রথম ম্যাচের লক্ষ্যটা ১২৫ রান ছিল বিধায় তাওহীদের ১৮ বলে ৩৩ রানই টাইগারদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে যথেষ্ট ছিল। তাই আর কারও সেদিন ব্যাটিংয়ে নামা প্রয়োজন হয়নি। পরের ম্যাচেও লক্ষ্যটা ১৩৯ রান ছিল বলে ওই তাওহীদের ২৫ বলে ৩৭ রানের পর মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ১৬ বলে ২৬ রানেই জয়ের বন্দরে নোঙর করতে পেরেছে টিম বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ম্যাচে জাকের আলীর ১২ বলে ১৩ রানের ইনিংসটি নিঃসন্দেহে প্রশংসিত হয়নি।

তৃতীয় ম্যাচের জাকের, তাওহীদের ৪৪ ও ৫৭ রানের কল্যানে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে গেলেও সেই ম্যাচে ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো, বিশেষ করে লিটন দাসের সেই আত্মঘাতী শট। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে এসে মিডল অর্ডারের কেউই যে ডাবল ডিজিটও স্পর্শ করতে পারেননি! ওপেনিং জুটিতে সৌম্য-তানজিদ তামিম ১০১ রানের ইনিংসটি না খেললে হয়ত হারের গ্লানি নিয়েই মাঠ ছড়াতে হতো হাথুরুসিংহে ও তার শিষ্যদের। তো মিডল অর্ডার নিয়ে সৌম্যর মন্তব্য ছিল এমন, ‘ভাই প্রত্যেক ম্যাচে তো ওরা এমন করছে না। একদিন তো এমন হতেই পারে। সামনে আবার ভালো করবে।’

সৌম্য সম্ভবত ভুলে গেছেন, বাংলাদেশের জন্য এই মুহূর্তে সামনে বলতে ওই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই বোঝায়, যা মাঠে গড়াতে এক মাসও বাকি নেই।