ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি বাইডেনের

ইসরায়েলি নির্বিচার বোমা হামলায় গাজার বেশিরভাগ এলাকাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হওয়া ১৪ লাখের মতো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে দক্ষিণের রাফাহ শহরে। এবার সেই উদ্বাস্তুদের ওপরেই হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রাফায় সামরিক অভিযান চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের বোমায় গাজায় হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে স্বীকার করলেন বাইডেন

গাজার লাখ লাখ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুর আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা রাফাহ শহরে বরাবরই বড় ধরনের হামলার বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হোক বা না হোক, রাফায় সামরিক অভিযান চালানো হবে।

সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে এরইমধ্যে মিশরের সঙ্গে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনি অংশ দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। আর প্রতিদিনই শহরটিতে বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাতে মারা পড়েছে অসংখ্য মানুষ। এখন সর্বাত্মক সামরিক অভিযান চালানো হলে রাফায় লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির আশংকা রয়েছে।

এমন অবস্থায় ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, গাজার রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরু করলে ইসরায়েলকে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, আমরা প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র আর সরবরাহ করব না, যা রাফাহ শহরে ব্যবহার করা হতে পারে। তবে ইসরায়েলকে নিরাপদ রাখা নিশ্চিতে কাজ চালিয়ে যাবো আমরা।

ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ২ হাজার পাউন্ডের বোমা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে বাইডেন স্বীকার করেন, এগুলো সেই বোমা যা ব্যবহার করে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা অস্ত্র এবং আর্টিলারি শেল ইসরায়েলে সরবরাহ করতে যাচ্ছি না।

বাইডেন বলেন, আমি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভাকে স্পষ্ট বলেছি, তারা যদি জনবহুল এলাকায় অভিযান চালায়, তাহলে আমাদের সমর্থন পাবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এরইমধ্যে ইসরায়েলে হাজার হাজার বোমার চালান বিলম্বিত করেছে এবং বলেছে, এসব অস্ত্র ভবিষ্যতে সরবরাহের বিষয়ে পর্যালোচনা করছে তারা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৮৪৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও ৭৮ হাজার ৪০৪ জন।